সারা দেশজুড়ে ফের আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন কৃষকরা। একাধিক দাবি নিয়ে তাঁরা পথে নামবেন। পাঞ্জাব, হরিয়ানার একাধিক জেলা থেকে ‘দিল্লী চলো’র আহ্বান জানানো হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার রাজধানীতে পদযাত্রা এবং বিক্ষোভ কর্মসূচি রয়েছে তাঁদের। এই কৃষক আন্দোলন রুখতে দু’দিন আগে থেকেই উঠেপড়ে লাগতে শুরু করল হরিয়ানা সরকার। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, হরিয়ানার সাত জেলায় মোবাইলের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, রাস্তায় ব্যারিকেড বসানোর কাজও শুরু করেছে পুলিশ। ফসলের জন্য ন্যূনতম সমর্থন মূল্যের (এমএসপি) গ্যারান্টি দেওয়ার আইন, কৃষকদের জন্য পেনশন, শস্যবিমা এবং তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর বাতিলের দাবিতে ১৩ই ফেব্রুয়ারি দিল্লির রাস্তায় আন্দোলনের কর্মসূচি রয়েছে। ফের রাজধানীর রাজপথ উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই। জানা গিয়েছে, আন্দোলনে শামিল হবে ২০০টির বেশি কৃষক সংগঠন।
হরিয়ানার বিজেপিশাসিত সরকার ইতিমধ্যেই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার কথা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অশান্তি এড়াতেই অম্বালা, কুরুক্ষেত্র, কইথাল, জিন্দ, হিসার, ফতেহাবাদ এবং সিরসা জেলায় মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত মোবাইলের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে। গ্রাহকেরা শুধু মাত্র ভয়েস কল করতে পারবেন। পাশাপাশি, বিক্ষোভকারীরা যাতে অন্যান্য জেলা থেকে হরিয়ানায় ঢুকতে না পারেন, সেই উদ্দেশ্যে রাজ্যের সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। অতিরিক্ত ৫০ কোম্পানি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যার জেরে চণ্ডীগড় এবং দিল্লির মধ্যে যাতায়াতে সমস্যায় পড়তে পারেন যাত্রীরা। যদিও পুলিশের তরফে বিকল্প রাস্তার কথাও বলা হয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া পাঞ্জাব এবং দিল্লীতে না যাওয়ার জন্য হরিয়ানার মানুষকে পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে কৃষকবিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা দেশ। উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিতে লাগাতার আন্দোলন চলেছে। সেই আন্দোলনের জেরে শেষ পর্যন্ত পিছু হটতে বাধ্য হয়েছিল মোদী সরকার।