সম্প্রতি একাধিকবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পাওনা বকেয়া আটকে রাখার অভিযোগ তুলেছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে ধর্নাও করেছেন। এদিন বিধানসভায় রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘সর্বশিক্ষা মিশন খাতে কেন্দ্রীয় সরকার দিচ্ছে না টাকা। রাজ্যের সঙ্গে বৈষম্য করা হচ্ছে। ১০০ দিনের কাজের টাকা না দেওয়ার মতো করছে। হয় তো ওরা ২০০ পার হবার অপেক্ষায় রয়েছে। কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের পাওনা ১৭৫৪.৭৯ কোটি টাকা। কেন্দ্র আপাতত দিয়েছে ৩১১.২৯৪ কোটি টাকা’। বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে এমনটাই জানালেন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী।
কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ধর্না মঞ্চে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি বলেন, ‘মতুয়া ঠাকুরদের সবথেকে বেশি কে করে দিয়েছে? রাস্তা, স্টেশন, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ করেছি। ছুটি অবধি দিই। বাংলাকে ২১ লক্ষ শ্রমিকদের টাকা কেন দেওয়া হল না। সাংবিধানিক অধিকার মানছে না। এদের জেলে যাওয়া উচিত। আবাসে এখানে ১৫৬ টিম এসেছে। এখানে কিছু হলেই সব কমিশন চলে আসে। তাদের থাকা, খাওয়া সব আমাদের করতে হয়। গন্ডগোল হল কাটিহারে।বলা হচ্ছে বাংলায় গন্ডগোল। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সব তথ্য ছড়াচ্ছে। সব জায়গায় নিজের ছবি লাগাচ্ছে। রেল বলে কিছু নেই। দিল্লি গেলাম। প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বললাম। বলল অফিসারদের মিটিং হবে। তারপরেও টাকা দিচ্ছে না। যে বিরোধীতা করছে তাকেই জেলে পুরে দিচ্ছে।’
এরপরই ফের রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রাকে কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, ‘সামনে ভোট। তাই এখন আবার বসন্তের কোকিল চলে এসেছে। নতুন করে ফটোশুট হচ্ছে? কংগ্রেসকে বলেছিলাম ৩০০ আসনে লড় একা। আমরা আঞ্চলিক দল ২৪৩ আসনে লড়ব। কংগ্রেস ৪০ আসন পাবে কিনা জানিনা। আমরা ইন্ডিয়ার অংশ। এই রাজ্যে এসেছে আমাদের জানায়নি। আমি প্রশাসন থেকে শুনেছি। ক্ষমতা থাকলে ইউপিতে যাও।’