আগামী লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশজুড়ে জনসংযোগকে সুদৃঢ় করতে মরিয়া কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’। আজ, মঙ্গলবার নাগাল্যান্ডে সেই যাত্রার তৃতীয় দিনে দেখা গেল উপচে পড়া ভিড়। মণিপুর থেকে শুরু হয়ে সোমবার রাহুল গান্ধীর দ্বিতীয় দিনের যাত্রা শেষ হয়েছিল নাগাল্যান্ডের রাজধানী কোহিমার অদূরে বিশওয়েমায়। মঙ্গলবার সকালে সেখান থেকে নাগাল্যান্ডের ‘ওয়ার মেমোরিয়াল’-এ। শহিদ সেনাদের স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে। সকাল সাড়ে ৯টায় কোহিমার ইন্দিরা গান্ধী স্পোর্টস স্টেডিয়ামে জনসভা করেন তিনি। দুপুরে চিয়েফোবোজ়ু এবং বিকেলে রাজ্যের তৃতীয় বৃহত্তম শহর ওখাতেও রাহুলের জনসভা ছিল। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে প্রতিটি জায়গাতেই দেখা গিয়েছে বিপুল জনসমাগম। চিয়েফোবোজ়ুতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাহুল অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনে কংগ্রেস নেতৃত্বের না যাওয়ার সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে সরব হন।
রাহুল বলেন, ‘‘আরএসএস এবং বিজেপি মিলে ২২শে জানুয়ারির অনুষ্ঠানকে নরেন্দ্র মোদীর রাজনৈতিক কর্মসূচি বানিয়ে ফেলেছে। আমার মনে হয়, সে কারণেই কংগ্রেস সভাপতি (মল্লিকার্জুন খাড়গে) না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’’ গত ৮ মাস ধরে গোষ্ঠীসংঘর্ষের জেরে মণিপুরে রক্ত ঝরলেও কেন্দ্র এবং সে রাজ্যের বিজেপি সরকার হিংসা থামাতে সচেষ্ট হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেন গোষ্ঠীহিংসা শুরুর পর থেকে মণিপুরে যাননি সে প্রশ্নও তুলেছেন রাহুল। সেই সঙ্গে আগামী লোকসভা ভোটে বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র জয়ের দাবিও করেছেন। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির মন্তব্য, ‘‘২০২৪-এর লোকসভা ভোটে ‘ইন্ডিয়া’ জিতবে। আমরা সকলে মিলে বিজেপিকে হারাব।’’ তাঁর অভিযোগ, বিজেপি সরকার বিদ্বেষ এবং বিভাজনের মডেল তৈরি করেছেন। তার পরিণামস্বরূপ তৈরি হল ঘৃণা এবং হিংসা। ‘‘দলিত, অনগ্রসর (ওবিসি) মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন। ফায়দা পাচ্ছেন শুধু বিজেপি ঘনিষ্ঠ দু’-তিন জন শিল্পপতি। আমরা এই অন্যায়ের অবসান ঘটাব’’, জানান কংগ্রেস নেতা।