রাজ্যের স্বাস্থ্যক্ষেত্রের উন্নয়নে ফের তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এবার হৃদরোগের চিকিৎসায় চালু করা হল মেডিসিন পরিষেবা। এর আগে স্ট্রোকের ক্ষেত্রে টেলি মেডিসিন পরিষেবা কার্যকর হয়েছিল সরকারি হাসপাতালে। এখন থেকে হৃদরোগে সম্পূর্ণ চিকিৎসা পরামর্শ মিলবে টেলি মেডিসিন পরিষেরার মাধ্যমে। বাংলার ৮টি মেডিকেল কলেজের নেতৃত্বে রাজ্যজুড়ে শুরু হতে চলেছে টেলি-কার্ডিওলজি পরিষেবা। হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ব্লক, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের মতো আপৎকালীন পরিস্থিতে কিংবা অ্যানজাইনা অথবা হার্ট ফেলিয়োরের মতো চিকিৎসা ক্রনিক হাসপাতালেই পেয়ে যাবেন সাধারণ মানুষ। এসএসকেএম, আরজি কর, ন্যাশনাল, কলকাতা মেডিক্যাল, এনআরএস, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল, বাঁকুড়া সম্মিলনী ও বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ – এই হাসপাতালগুলি মিলিয়ে টেলি কার্ডিওলজি পরিষেবা জেলা ও মহকুমা স্তরের হাসপাতালগুলিকে। এর ফলে কলকাতামুখী ভিড় কমবে এবং হাসপাতালগুলির রেফারের প্রবণতা কমবে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
পাশাপাশি, জানা গিয়েছে, প্রত্যেকটি হাসপাতালের জন্য একটি নির্দিষ্ট দিন ঠিক করে দেওয়া থাকে। সেই ওই কার্ডিওলজি বিভাগের ষে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকবে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা। তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়া যাবে কোন রোগী জন্য কোন ধরনের চিকিৎসা করতে হবে। এর ফলে সময়ও বাঁচবে চিকিৎসাও হবে উৎকৃষ্ট মানের। রাজ্যের ওই আটটি হাসপাতালে স্বাস্থ্য দফতর থেকে চিঠি গিয়েছে বিভাগীয় প্রধানদের কাছে। যাঁর এই টেলিপরিষেবার সঙ্গে যুক্ত থাকবেন তাঁদের একটি তালিকাও পাঠানো হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরকে। সেই তালিকায় উল্লেখ চিকিৎসার প্রটোকল এবং ডিউটি রস্টার উল্লেখ রয়েছে। স্বাস্থ্য ভবন থেকে জানা গিয়েছে সব কিছু ঠিক থাকলে খুব শীঘ্রই এই পরিষেবা চালু হবে। স্বাস্থ্যকর্তারা মনে করছেন, আগামী দিনে হৃদরোগের সমস্যা নিয়ে জেলা থেকে কলকাতায় মূলত তাঁরাই আসবেন যাঁদের পেসমেকার বসানো, অ্যাঞ্জিয়োগ্রাফি, অ্যাঞ্জিয়োপ্লাস্টি কিংবা কার্ডিয়াক সার্জারির প্রয়োজন রয়েছে। এর ফলে কমবে রেফার করার প্রবণতা, এমনই মনে করছেন তাঁরা।