গত ১২ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয়েছে রাষ্ট্রসংঘের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের ‘রিজিওনাল ওভারভিউ অফ ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড নিউট্রিশন ২০২৩: স্ট্যাটিস্টিকস অ্যান্ড ট্রেন্ডস’ শিরোনামের রিপোর্ট। আর তাতে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে ৭৪.১৯ শতাংশ ভারতীয় স্বাস্থ্যকর খাদ্য আহার করতে অক্ষম ছিল। যদিও ওই পরিসংখ্যানে একথাও বলা হয়েছে, তার আগের বছরের তুলনায় এই চিত্রটা সামান্য হলেও উন্নত হয়েছে — ২০২০ সালে এই পুস্টিকর-স্বাস্থ্যকর খাবার থেকে বঞ্চিত ছিল ৭৬.২ শতাংশ ভারতীয়।
পাকিস্তানে, এই চেহারাটা ৮২.২৯ শতাংশ আর বাংলাদেশে ৬৬.১ শতাংশ। আবার শ্রীলঙ্কায় এই ফিগারটা ৫৫.৫ শতাংশ। ওই রিপোর্টে সতর্ক করা হয়েছে, খাদ্যের খরচ ক্রমবর্ধমান হওয়ার ফলে মানুষের আয়বৃদ্ধির সঙ্গে তা সামঞ্জস্য না থাকায় আরও বেশি বেশি মানুষ স্বাস্থ্যকর খাদ্য জোগাড়ে সামর্থ্য রাখতে পারছে না। ওই প্রতিবেদনে আরও নির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে, ‘যদি একই সময়ে খাদ্যের খরচ বেড়ে যায় আর আায় কমে যায়, তাহলে একটি জটিল প্রভাব দেখা দেয়, যার ফলস্বরূপ আরও বেশি মানুষ স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করতে অক্ষম হয়ে পড়ে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ অতিমারি এবং ‘ফাইভ এফএস’ সংকট অর্থাৎ খাদ্য, খাওয়ানো, জ্বালানি, সার এবং অর্থ— এই অঞ্চলটি হতাশাজনক পরিসংখ্যানের সাক্ষী ছিল। ফাও-এর ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে দেশের ৩১.৭ শতাংশ পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুর বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয়েছে। রিপোর্টে স্পষ্ট করেছে, ‘অচল প্রবৃদ্ধি আর বিকাশের একটি কারণ হল মায়ের দুর্বলস্বাস্থ্য এবং পুষ্টির অভাব।’ অর্থাৎ প্রসূতিদের যদি উপযুক্ত পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ করা যায় বা তাঁরা উপার্জন করে কিনতে পারেন তবে শিশুদের স্বভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশ দেখা যাবে।