একদিকে যেমন জারি রয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। তেমনই গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে ক্রমাগত আক্রমণ শানিয়ে চলেছে ইজরায়েল। যা, সাম্প্রতিক কালের সবচেয়ে বিধ্বংসী সংঘর্ষের চেহারা নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন বছরের শুরুতে কি আদৌ ভাল জায়গায় রয়েছে নয়া দিল্লি? এক নজরে দেখে নেওয়া যাক বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের বর্তমান অবস্থার ছবি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ওয়াশিংটন এবং নয়াদিল্লি সফরের পর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে খালিস্তানি জঙ্গিকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে। তাতে ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সামান্য হলেও চিড় ধরেছে। কানাডার পর ভারত আমেরিকাকেও এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, উপযুক্ত তথ্য পেলে মার্কিন ষড়যন্ত্রে ভারতীয় নাগরিকদের ভূমিকা খুঁজে দেখা হবে। অন্যদিকে, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু নয়াদিল্লিকে মালদ্বীপ থেকে সেনা প্রত্যাহার করার অনুরোধ করেছেন। তিনি একটি জল সমীক্ষা চুক্তি বাতিল করতে চাইছেন। চীনের উসকানিতেই মুইজ্জু এসব করছেন বলে নয়াদিল্লি মনে করছে।
এদিকে, নয়াদিল্লির আফগানিস্তান দূতাবাসে রাষ্ট্রদূতের পরিবর্তন হয়েছে। মুম্বই এবং হায়দরাবাদের দূতাবাস থেকেও আফগানিস্তানের কূটনীতিকরা পদত্যাগ করেছেন। ভারত তাঁদের আশ্বস্ত করেছে যে এদেশের দূতাবাসে তালিবানের পতাকা উড়বে না। ভারতের সরকারি চিঠিপত্রেও তালিবান নাম থাকবে না। যদিও, নয়া দিল্লি তালিবানের রাজধানী কাবুলের দূতাবাসে একটি টেকনিক্যাল টিমকে রেখেছে। আর, নয়াদিল্লিতে আফগান দূতাবাসের বর্তমান দলটি আফগান নাগরিকদের জন্য পাসপোর্ট এবং ভিসা পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যে তালইবান সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। আবার, ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর থেকে পাকিস্তান যে ভারতের ওপর খুব একটা খুশি নয়, সে কথা বলাই বাহুল্য।