গত মঙ্গলবারই দিল্লিতে ‘ইন্ডিয়া’র মহা বৈঠকে আসন সমঝোতার জন্য সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার ফলে সশরীরে উপস্থিত না থেকেও কংগ্রেস কর্মসমিতির বৈঠকে জোরালো উপস্থিতি রইল তাঁর। তৃণমূল নেত্রীর বেঁধে দেওয়া সময়সীনা নিয়ে কংগ্রেসের সর্বোচ্চ কমিটিকে খরচ করতে হল অনেকখানি সময়। ঠিক হয়েছে, চলতি মাসেই তৈরি করা হবে স্ক্রিনিং কমিটি। চলতি সপ্তাহেই তৈরি হয়ে যাবে ম্যানিফেস্টো কমিটি। ইতিমধ্যেই ২৩টি রাজ্যের প্রদেশ কমিটির সঙ্গে হয়ে গিয়েছে আলোচনা। বাকিগুলির সঙ্গেও বৈঠক করা হবে দ্রুত। একই সঙ্গে ‘ইন্ডিয়া’-র শরিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনার জন্য তৈরি হওয়া পাঁচ সদস্যের ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স কমিটিকেও কাজে গতি আনার নির্দেশ হওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী-সহ ৭৬ জন সদস্য মিলে এদিন প্রায় চারঘণ্টা আলোচনা করেন সম্প্রতি হওয়া পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন, আগামী লোকসভা নির্বাচন ও দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে। কর্মসমিতির স্থায়ী সদস্যদের সঙ্গে ছিলেন স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্য ও বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্যরাও। সর্বসম্মতভাবে ঠিক হয়েছে বিজেপি শাসন থেকে দেশকে মুক্ত করার লক্ষ্যে অবিলম্বে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। এর জন্য তৃণমূল-সহ অন্যান্য শরিক দলগুলির দাবি মেনে আসন সমঝোতার জট খোলার কাজে যথেষ্ট গুরুত্ব দিতে চাইছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। আর ২৮ ডিসেম্বর দলের ১৩৮তম প্রতিষ্ঠা দিবসে নাগপুরের ‘হ্যায় তৈয়ার হাম’ কর্মসূচি থেকেই সেই কাজ শুরু করে ফেলতে চাইছে দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল।