বিগত কয়েক মাস ধরে জাতি হিংসার আগুনে জ্বলছে উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্য মণিপুর। ইতিমধ্যেই কুকি আর মেইতেইদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। ঘটেছে গণধর্ষণ, জীবন্ত পুড়িয়ে মারার মতো ঘটনাও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যতই দাবি করুক না কেন সেখানে শান্তি ফিরেছে, বাস্তব বলছে এখনও পুরোপুরি শান্ত হয়নি মণিপুর। এরই মধ্যে নভেম্বরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উদ্যোগে মেইতেই প্রভাবিত সশস্ত্র গোষ্ঠী ইউএনএলএফ শান্তি চুক্তি করেছিল। যদিও এ নিয়ে সেসময়ই সংশয় প্রকাশ করেছিল কুকি-জো জনজাতিদের কয়েকটি সংগঠন। চূড়াচাঁদপুর-সহ কয়েকটি জেলায় সশস্ত্র মেইতেই বাহিনীর হামলায় নতুন করে রক্ত ঝরায় পরে সেই সংশয় সত্য প্রমাণিত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ষাটের দশকে স্বাধীন এবং সার্বভৌম মেইতেই রাষ্ট্রের দাবিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ইউএনএলএফ। বর্তমানে সংগঠনের নেতৃত্বে রয়েছেন মণিপুরি রাজবংশের সন্তান আরকে মেঘেন ওরফে সানা ইয়াইমা এবং একদা জনপ্রিয় মণিপুরি গায়ক তথা সংগীতকার নংমৈথেন পাহাড়ি। কট্টরপন্থী ওই গোষ্ঠীকে মণিপুরের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের সরকার কুকিদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে বলে অভিযোগ উঠছিল আগেই। আর এবার অভিযোগ উঠল, গত এক মাসে কিছুটা স্তিমিত হয়ে আসা হিংসা নুতন করে মাথাচাড়া দিয়েছে ইউএনএলএফ-সহ কয়েকটি মেইতেই গোষ্ঠীর ‘সৌজন্যে’।