যে রাজ্যে যে দল শক্তিশালী, সেই রাজ্যে আসন সমঝোতার ক্ষেত্রে সেই দলকেই শেষ কথা বলতে দিতে হবে। কোন বিরোধী দল কত আসনে লড়বে, তা স্থির করবে সেই রাজ্যের প্রধান দলটি। ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে এই ফর্মুলাই দিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূলের দাবি, অধিকাংশ বিরোধী দলই মমতার এই সূত্রে সহমত। যদিও কংগ্রেসের মতো সর্বভারতীয় দল কী ভাবে এই ‘ফর্মুলা’ মেনে নেবে বা আদৌ মেনে নেবে কি না, সে বিষয়ে এখনও সংশয় যথেষ্ট। কারণ, সে ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ-সহ অনেক রাজ্যেই নামমাত্র আসনে প্রার্থী দিতে পারবে রাহুল গান্ধী-মল্লিকার্জুন খাড়গের দল।
তৃণমূল নেত্রীর আসন রফার সূত্র মান্যতা পেলে, বিহারে নীতীশ কুমার ও তেজস্বী যাদব, পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তামিলনাড়ুতে এম কে স্ট্যালিন, মহারাষ্ট্রে উদ্ধবপন্থী শিবসেনা এবং এনসিপি, উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ সিংহ যাদব, পঞ্জাব এবং দিল্লিতে অরবিন্দ কেজরীওয়ালই আসন রফার ক্ষেত্রে শেষ কথা বলবেন সংখ্যার আধিক্যের জন্য। ফলে সে ক্ষেত্রে কংগ্রেস যদি আঞ্চলিক দলের চাপে কর্নাটক, তেলঙ্গানার মতো রাজ্যগুলির বাইরে সর্বত্র তাদের প্রার্থী ছড়িয়ে দিতে না পারে, তা হলে দীর্ঘমেয়াদি ভাবে দলের অস্তিত্বের সঙ্কট নিশ্চিত। এমতাবস্থায় কংগ্রেস মঙ্গলবারের বৈঠকে কতটা সমঝোতায় যেতে রাজি থাকে, এখন সেটিও দেখার।