আচমকাই বিপাকে পড়লেন হুগলির বিজেপি নেতা-কর্মীরা। প্রসঙ্গত, হুগলিতে বিজেপি’র জেলা কার্যালয়ের একটি ঘরে স্থানীয় সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের অফিস আছে। সেখানে তাঁর নিজস্ব কিছু কর্মী থাকেন। সাংসদের শংসাপত্র দেওয়া সহ অভাব-অভিযোগের বিষয়টি তাঁরা দেখাশোনা করেন। সেই অফিসটিই দীর্ঘসময় ধরে তালাবন্ধ। ফলে সমস্যায় পড়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। অভিযোগ, প্রায় প্রতিদিনই এসে ক্ষোভ-বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন হুগলি-চুঁচুড়া সাংগঠনিক জেলার বিভিন্ন প্রান্তের নেতা-কর্মীরা। জনৈক মণ্ডল নেতা বলেন, “নানা প্রয়োজনে আমরা গ্রামের মানুষকে সাংসদের অফিসে পাঠাই। কিন্তু তাঁদের রোজই বিফল মনোরথ হয়ে ফিরতে হচ্ছে। কল্যাণী এইমস হাসপাতালে যাওয়ার জন্য সাংসদের শংসাপত্রের চাহিদা প্রবল। কিন্তু তা পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ, সাংসদের অফিস প্রতিদিনই বন্ধ। গ্রামের মানুষ আমাদের গালিগালাজ করছেন। সাংসদ ব্যস্ত থাকতে পারেন কিন্তু তাঁর অফিস চালু থাকবে না কেন?”
এবিষয়ে লকেট চট্টোপাধ্যায় জানান, “ভিত্তিহীন অভিযোগ। আমার অফিসে তিনজন আছেন। তাঁরা নিয়ম করে অফিস চালান। কখনও কখনও তাঁদের কেউ অন্যকাজে যান। কিন্তু অফিস তার জন্য বন্ধ থাকে না। তাছাড়া জেলা নেতৃত্বকেও সবরকম সাহায্য করার কথা বলা আছে।” বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, “সোমবার অফিসে কী হয়েছে তা খোঁজ নিয়ে দেখব। তবে সাংসদের অফিস বন্ধ থাকলেও জেলা অফিসে অন্যান্য কার্যকর্তা তো থাকেন। সমস্যার কথা তাঁদেরকেও বলা যায়।” দলের এক জেলা নেতা বলেন, নিচুতলার নেতা-কর্মীদের কোনও দোষ নেই। সাংসদের অফিস দীর্ঘসময় ধরে বন্ধ। নানা কাজে অনেক দূর থেকে মানুষ এসে ঘুরে যাচ্ছেন। তাতে মণ্ডল সভাপতি থেকে শুরু করে বাকি নেতা-কর্মীরা সমস্যায় পড়ছেন। এনিয়ে সাংসদকে বলা হয়েছিল। কিন্তু তাতে বিশেষ সুরাহা হয়নি।