এবার বিজয়া সম্মিলনীকে জনসংযোগের হাতিয়ার করল তৃণমূল। রাজ্য জুড়ে প্রতি বিধানসভায় বিজয়া সম্মিলনীর তালিকা প্রকাশ করেছে তৃণমূল। কিন্তু সেই তালিকায় নজর কেড়েছে মুর্শিদাবাদ। কারণ বহরমপুরে ব্লক ধরে ধরে বিজয়া সম্মিলনী কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, তবে কি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে হারাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে তৃণমূল। রয়েছে বড় কোনও পরিকল্পনা। অনেকেই মনে করছেন, তৃণমূলের এই বিজয়া সম্মিলনীর মধ্যেই বিসর্জনের বীজ লুকিয়ে রয়েছে।
তৃণমূলের প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, কেবল বহরমপুরেই ২৬টি বিজয়া সম্মিলনী হবে। পুজোর পর জন সংযোগের মডেল এবার বিজয়া সম্মেলনও। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, কেন্দ্রের বঞ্চনা, রাজ্য বিজেপির বাংলার প্রতি অসহিষ্ণুতা, এই সব বিষয় নিয়েই মিষ্টি নোনতা সহযোগে আলোচনা করবে তৃণমূল নেতৃত্ব । রাজ্য জুড়ে প্রতি বিধানসভায় হবে এই বিজয়া সম্মিলনী ।
একটা বিষয় নজর কাড়ার মতো। তৃণমূল যে তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে বহরম পুর লোকসভা কেন্দ্র জুড়ে ২৬ টি বিজয়া সম্মিলনী। বহরমপুরে যে নিবিড় জনসংযোগ করার চেষ্টা চলেছে, এমনভাবে তা বাকি কোনও লোকসভার ক্ষেত্রে হয়নি।
‘২৪ এর নির্বাচনের আর বেশি সময়ের ব্যবধান নেই। সাগরদিঘির উপানির্বাচনের পরই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে রীতিমতো তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়তে দেখা গিয়েছিল। অধীর চৌধুরীর চ্যালেঞ্জ ছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়ে জিততে পারলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। সেই চ্যালেঞ্জ কার্যত গ্রহণ করেছিলেন অভিষেক।