চলতি বছরের ২ জুন উড়িষ্যার বালেশ্বরে বাহানাগা স্টেশনের কাছে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। সেদিন ভুল লাইনে ঢুকে পড়ায় মালগাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় শালিমার-চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেসের। মালগাড়ির ওপরে উঠে যায় করমণ্ডলের ইঞ্জিন ও একাধিক কামরা। লাইনচ্যুত হয় পিছনের কামরাগুলিও। সেই কামরায় আবার ধাক্কা লাগে যশবন্তপুর-হাওড়াগামী হামসফর এক্সপ্রেসের। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৯৬ যাত্রী। দুর্ঘটনাগ্রস্ত সেই ট্রেনের কামরাগুলিই এবার উঠল নিলামে।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের খড়্গপুর শাখার ডিভিশনাল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার আদালতে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ইঞ্জিন, কামরা ও ওয়াগনগুলি বিক্রি করার দাবি জানিয়ে পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল। আদালতের তরফে এই বিষয়ে সিবিআইয়ের কাছে জানতে চাওয়া হয় যে কামরাগুলি বিক্রি করে দিলে তাদের তদন্তে কোনও সমস্যা হবে কি না।
সিবিআই রেলকে চিঠি লিখে জানায়, তাদের আর ক্ষতিগ্রস্ত কামরা, ওয়াগন বা লোগোর প্রয়োজন নেই। কারণ ওই দুর্ঘটনার তদন্তের চার্জশিট ইতিমধ্যেই জমা দেওয়া হয়েছে। এরপরেই চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার ভুবনেশ্বরের একটি আদালত দুর্ঘটনাগ্রস্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেস, যশবন্তপুর-হাওড়া হামসফর এক্সপ্রেস ও মালগাড়ির কামরাগুলি নিলামের অনুমতি দেয়। ট্রেনের ইঞ্জিন সহ মোট ২১টি দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া কামরা, ওয়াগন স্ক্রাপ হিসাবে বিক্রি করে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, নিলামে সবকটি কামরা ও ওয়াগন মিলিয়ে ৩.৮ কোটি টাকা দাম উঠেছিল।