সিকিমে জলাধার ফেটে গিয়ে জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে বিপুল এলাকা৷ বেশিরভাগ পাহাড়ি নদীর জল বইছে বিপদসীমার উপর দিয়ে৷ আর তার প্রভাব অবশ্যম্ভাবী ভাবে এসে পড়ছে পাহাড়তলিতেও৷ আর সেই কারণেই উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলা নিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে চলেছে রাজ্য সরকার৷ বুধবার বর্তমান দুর্যোগের পরিস্থিতি নিয়ে পাহাড়ের জেলা কালিম্পংয়ে সেনা নামানোর নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বৈঠকে বলেন, পাহাড়ি জেলায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সেনার সাহায্য নেওয়ার কথা৷ আর সেই কথার প্রেক্ষিতে মুখ্যসচিব সাংবাদিকদের জানালেন আপাতত কালিম্পংয়ে এক কলাম সেনাকে কাজে ব্যবহার করা হবে৷ একদিকে পাহাড়ের হ্রদ ফেটে যাওয়ায় বিপদসীমার উপর দিয়ে বইয়ে তিস্তা নদী, সিকিমের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগে সমস্যা দেখা দিয়েছে৷ খবর মিলেছে, হড়পা বানের তোড়ে ২৩ জন সেনা নিখোঁজ৷ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত তিনটি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে৷ সব মিলিয়ে পরিস্থিতি যাতে আরও খারাপ না হয়, তার ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য সরকার৷
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘সিকিমে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি হয়েছে৷ রাত তিনটের সময় খবর এসেছে৷ তারপর থেকে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে৷ কালিম্পংয়ে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে৷ সিকিমের সঙ্গে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে৷ রাত থেকে আমি নজরদারি করছি৷ আমরা ভারতীয় সেনার সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে৷ ও দিকে ডিভিসিতে প্রচুর পরিমাণে জল জমে আছে৷ সেখানেও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে ক্ষতি হওয়ার৷ আমরা একটু কম করে জল ছাড়তে বলেছি৷’
পাশাপাশি, মুখ্যন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা কয়েকজন মন্ত্রীকে আলাদা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য দায়িত্ব দিচ্ছি৷ এ ছাড়া আমি বাড়ি থেকে ২৪ ঘণ্টা বিষয়টির উপর নজরদারি চালাব৷ পাশাপাশি, যাঁরা লো ল্যান্ড অর্থাৎ নীচু জমিতে আছেন, তাঁদের বলছি আপনারা রিলিফ ক্যাম্পে আসুন৷ আর মৎস্যজীবীদের অনুরোধ আপনারা এখনই মাছ ধরতে যাবেন না৷’