গত ২৯ অগস্ট রানাঘাটের সোনার দোকানে ডাকাতি হতেই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে পিস্তল উঁচিয়ে দুষ্কৃতীদের ধাওয়া করেছিলেন তিনি। পাকড়াও করেছিলেন তাদের। এবার সেই পুলিশ আধিকারিককে বীরত্বের সম্মানে ভূষিত করবে রাজ্য। মাদ্রিদেই ডিরেক্টর সিকিউরিটি পীযূষ পাণ্ডেকে এ ব্যাপারে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি বিহারের গ্যাং কীভাবে বাংলায় ঢুকে এমন দুঃসাহসিক ডাকাতি করতে পারে, তার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের জানিয়ে দিয়েছেন, কেউ যেন ছাড়া না পায়, প্রত্যেককেই ধরতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ অগস্ট দুপুরে রানাঘাট ও পুরুলিয়ায় প্রায় একই সময়ে একই কায়দায় সোনার বিপণিতে ডাকাতি করে দু’টি গ্যাং। রানাঘাটের ক্ষেত্রে দুষ্কৃতীরা নিরাপত্তারক্ষীদের আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ডাকাতি করে, শোরুমের কর্মীকে বন্দুকের বাঁট দিয়েও মারে। তবে রেললাইন ধরে পালানোর সময় পুলিশ ধাওয়া করে চারজনকে ধরে ফেলে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, বিরাট চেহারার অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর রতনকুমার রায় হাতে পিস্তল উঁচিয়ে তাড়া করছেন দুষ্কৃতীদের। মূলত তাঁর জন্যই উদ্ধার হয় ডাকাতির সামগ্রী। পুলিশ দিবসে রতনবাবু ছাড়াও সংবর্ধনা দেওয়া হয় রানাঘাট থানার আইসি সঞ্জীব সেনাপতি, দুই সাব ইন্সপেক্টর আলতাব হোসেন, জয়ন্ত ঠাকুর এবং আরও এক এএসআই মলয়কুমার সাহাকে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে চাইছেন, বীরত্বের সম্মানে সম্মান জানাতে। এটাও স্পষ্ট যে, স্পেনে বসেও বাংলার প্রশাসনে সতর্ক নজর রাখছেন তিনি।