রাহুল গান্ধী বিগত তিন বছর ধরে বলে চলেছেন, পূর্ব লাদাখের বিস্তীর্ণ জমি দখল করে রেখেছে চিনের লালফৌজ। গত মাসে লাদাখে দাঁড়িয়েও একই কথা বলেছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। দিন কয়েক আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে লেখা চিঠিতে সোনিয়া গান্ধী দাবি করেছেন, সংসদের আসন্ন বিশেষ অধিবেশনে চিন সীমান্ত নিয়ে আলোচনা করা হোক।
কিন্তু চিন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দূরের কথা, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-ও পারতপক্ষে মুখ খোলেন না। এমন পরিস্থিতিতে বিজেপি নেতা তথা দেশের প্রাক্তন আইনমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম স্বামী মঙ্গলবার ঘোষণা করেছেন, চিন নিয়ে ভারত সরকারের নীরবতা ভাঙতে তিনি অচিরেই সুপ্রিম কোর্টের কড়া নাড়বেন।
স্বামী বরাবরই নরেন্দ্র মোদীর তুমুল সমালোচক। বিরোধীরা মুখ খোলার আগেই তিনি জিএসটি চালু এবং বিমুদ্রাকরণ নিয়ে মোদীর তুমুল সমালোচনা করেন। অর্থমন্ত্রকের কাজকর্ম নিয়ে সরব স্বামী প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব দিলে ছয়মাসের মধ্যে দেশের হাল ফিরিয়ে দেবেন। যদিও মোদী কখনই এই দক্ষিণী নেতাকে গুরুত্ব দেননি। গত বছর স্বামীর রাজ্যসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আর তাঁকে আর প্রার্থী করেনি পদ্ম শিবির।
সেই প্রবীণ বিজেপি নেতা মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন পূর্ব লাদাখে চিন ভারতের ৪০৬৭ বর্গ কিলোমিটার জমি দখল করে রেখেছে। তাঁর প্রশ্ন, এর পরেও নরেন্দ্র মোদী নীরব কেন? বস্তুত এই প্রশ্নটাই তুলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল।