আর মাত্র কিছুদিনের অপেক্ষা। তারপরই দুর্গোৎসবের আনন্দে মেতে উঠবে আপামর বাঙালি। ইতিমধ্যেই মণ্ডপ তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে পুজো কমিটিগুলি। অভিনব চমক নিয়ে এবছর হাজির হচ্ছে নরেন্দ্রপুরের গ্রিনপার্ক সার্বজনীন দুর্গা পুজো কমিটি। তাদের প্যান্ডেল গড়ে উঠতে চলেছে লুসেইল স্টেডিয়ামের আদলে। এই মাঠেই গত বিশ্বকাপের ফাইনাল হয়েছিল। কাতারের এই স্টেডিয়াম সারা বিশ্বের ফুটবল প্রেমীদের কাছে নজর কেড়ে নিয়েছে মায়াবী পরিবেশের কারণে। উল্লেখ্য, নরেন্দ্রপুরের এই পুজো কমিটি প্রতিবারই চমক দেয়। এবার তারা এটির পরিকল্পনা করেছে ডিসেম্বরেই, মেসির হাতে বিশ্বকাপ ওঠার পর। এদের পরামর্শদাতা শতদ্রু দত্ত এদিন জানিয়েছেন, “আমার ভাল লেগেছে এইভাবে কাতারের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্টেডিয়ামকে পুজো কমিটি থিম ভেবেছে। আমি তাদের স্রেফ প্রস্তাব দিয়েছিলাম, সেটি এভাবে বাস্তবায়িত করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়বে আমি ভাবিনি।”
প্রসঙ্গত, শতদ্রুবাবু বাংলার নামী স্পোর্টস প্রোমোটার। তিনি এর আগে পেলে, মারাদোনা, কাফু, এমনকী সম্প্রতি এনেছিলেন বিশ্বজয়ী গোলরক্ষক এমি মার্টিনেজকেও। পুজোর সময় তিনি নিয়ে আসছেন আরও এক আর্জেন্টাইন তারকা অ্যাঞ্জেল দি মারিয়াকে। মারিয়ার হাত ধরেই নরেন্দ্রপুরের এই পুজোর উদ্বোধন করানোর পরিকল্পনা রয়েছে। সবটাই অবশ্য রয়েছে ভাবনার স্তরে। তবে এই প্যান্ডেলের মাথায় বসছে লিওনেল মেসির একটি ৪৫ ফুটের মূর্তিও। এটিও একটি বড় চমক। বিশ্বকাপের সময় ৭০ কিংবা ৮০ ফুটের কাটআউট হয়েছিল কেরলে। কিন্তু মূর্তির এই ভাবনা একেবারেই ব্যতিক্রমী। আয়োজকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, থাকছে আরও আকষর্ণীয় আজ। স্টেডিয়ামের আদলে তৈরি হওয়া প্যান্ডেলেই থাকবে প্রতিমা। পাশাপাশি মাঠের সেই উন্মাদনা ফিরিয়ে আনা হবে কৃত্রিম উপায়ে। প্রায় কোটি টাকার কাছাকাছি এই পুজোর বাজেট।
