জল্পনার অবসান। বাংলার রাজ্য দিবস অর্থাৎ ‘বাংলা দিবস’ হিসাবে বেছে নেওয়া হল ১ বৈশাখকেই। সেই সঙ্গে বাংলার রাজ্য গান হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে কবিগুরুর লেখা ‘বাংলার মাটি-বাংলার জল…’ গানটিকে। বৃহস্পতিবারই বিধানসভায় এই প্রস্তাব পেশ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। সেই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে বিধানসভায়। যেহেতু শাসকদল বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ, তাই এই প্রস্তাব অনায়াসে পাশ হয়ে যাবে।
গত ২৮ আগস্ট বাংলা দিবস নিয়ে সর্বদল কনভেনশন ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কনভেনশনের দুটি উদ্দেশ্য ছিল, এক রাজ্যের নির্দিষ্ট দিবস চূড়ান্ত করা। অপরটি নিজস্ব গান ঠিক করা। সেদিন বাংলা দিবস হিসাবে ১৫ আগস্ট, রাখী বন্ধন, এমনকি ২৩ জানুয়ারির কথাও আলোচনা করা হয়। তবে আলোচনার প্রেক্ষিতে এগিয়ে ছিল ১ বৈশাখই। শেষপর্যন্ত সেই দিনটাকেই রাজ্য দিবস হিসাবে বেছে নিয়েছে রাজ্য সরকার। সেটাই আজ প্রস্তাব আকারে পেশ করা হবে বিধানসভায়। সেই আলোচনায় অংশ নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আসলে গত ২০ জুন রাজভবনে দিল্লির নির্দেশে রাজ্যপাল ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পালন করেন। এমনকি আসাম-সহ বিভিন্ন রাজভবনে দিনটি পালন করা হয়। দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের প্রতিষ্ঠা দিবস হিসাবে ২০ জুন তারিখটিকে বারবার তুলে ধরতে চেয়েছে বিজেপি। ১৯৪৭ সালের এই দিনে মূলত, রাজ্য বিধানসভায় ভোটাভুটির মাধ্যমে অবিভক্ত বাংলাকে ভাগ করার সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়ে। বিজেপির দাবি ওই দিনটিকেই রাজ্য দিবস হিসাবে পালন করতে হবে। সেই দাবিতে এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভায় ‘রাজ্য দিবস ২০ জুন’ লেখা গেঞ্জি পরে হাজির হয়েছেন।