আচ্ছে দিন-এর ডাক দিয়ে দেশের সিংহাসনে বসেছিলেন মোদী। কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রী রূপে প্রায় এক দশক কাজ করার পর মোদী বলছেন আচ্ছে দিন আসতে এখনও ঢের বাকি! আচ্ছে দিনের আগমনকাল একেবারে আড়াই দশক পিছিয়ে দিচ্ছেন তিনি।
বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট, তার আগে ২০২৩-এ একেবারেই ল্যাজেগোবরে অবস্থা মোদী সরকারের। সোনা জয়ী ক্রীড়াবিদদের সম্মান বিপন্ন, মণিপুর জ্বলছে, মূল্যবৃদ্ধি, পাঁচ দশকে সর্বোচ্চ বেকারত্বের হার, দেশের সর্বত্র সম্প্রদায়িক হানাহানি চলছে, ভারত যেন বিদ্বেষের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে। ক্যাগ বলছে, মোদী জমানায় রেকর্ড দুর্নীতি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রিত্ব শুরুর আগে আচ্ছে দিনের ঘোষণা করেছিলেন মোদী, দাবি করেছিলেন তিনি ক্ষমতায় এলেই নাকি আচ্ছে দিন এসে যাবে।
কিন্তু পরিস্থিতি সে’কথা জানান দিচ্ছে না, বরং উল্টো ইঙ্গিত মিলছে। মোদী নিজেও তা উপলব্ধি করেছেন হয়ত, ‘আচ্ছে দিন’ বা ‘অমৃতকালে’র সময়সীমা বাড়িয়ে তিনি ২০৪৭ সালে ঠেলে দিয়েছেন। পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করছেন, তিনি নিশ্চিত ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত উন্নত দেশের তালিকায় জায়গা করে নেবে। অর্থনীতি নাকি আরও বেশি আত্মনির্ভর হয়ে উঠবে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সামাজিক ক্ষেত্রে নাকি বিশ্বের সেরা পরিষেবা মিলবে। প্রধানমন্ত্রীর আরও দাবি, তখন নাকি দেশে দুর্নীতি, জাতিভেদ ও সাম্প্রদায়িকতা বলে কিছু থাকবে না। এখানেই প্রশ্ন বিরোধীদের, তবে কি মোদী স্বীকার করে নিচ্ছেন দেশে এ’সব হচ্ছে?
বস্তুত আরও ২৫ বছরের অপেক্ষা! ‘আচ্ছে দিন’ নিয়ে খোদ মোদীও আর গ্যারান্টি দিতে পারছেন না।
মোদীর পঁচিশ বছরের পরিকল্পনাকে ঘিরে দিনভর কটাক্ষের ঝড় বয়েছে। কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর বলেছেন, মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্বর সমস্যায় ধুঁকছে দেশ। সেখানে দাঁড়িয়ে ২৫ বছর পরের কল্পনা? দুর্ভাগ্যজনক। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের কথায়, ২০৪৭ বহু দূর। ২০২৩-এ আচ্ছে দিন কেন আনতে পারলেন না, আগে সেই উত্তর দিন মোদী।