আগামী ৯-১০ সেপ্টেম্বর গোটা ক্যাম্পাসই বন্ধ থাকবে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে যে কোনও ছুটির দিনেও বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি খোলা থাকে। গবেষণা-সহ অ্যাকাডেমিক কাজের জন্য সারা বছরই খোলা থাকে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
কিন্তু ৯-১০ সেপ্টেম্বর ব্যতিক্রম। কারণ, ওই দু’দিন দিল্লিতে বসতে চলেছে জি-২০ ভুক্ত দেশগুলির সম্মেলন। তাতে সদস্য এবং অতিথি মিলিয়ে মোট ৩০টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা যোগ দেবেন। এছাড়া সব মিলিয়ে অতিথির সংখ্যা পাঁচশোর বেশি। সেই কারণে ওই দু’দিন গোটা ক্যাম্পাসই বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
তবে এখানেই থেমে না থেকে কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, হস্টেলে থাকা পড়ুয়ারা ওইদিন ক্যাম্পাসের ভিতরে এবং লাগোয়া চত্বরে কোনও ধরনের ধর্না, সমাবেশ ইত্যাদি করতে পারবে না। বলা হয়েছে, অ্যাকাডেমিক-নন অ্যাকাডেমিক কোনও ইস্যুতেই জমাবেশ নিষিদ্ধ। এই জাতীয় কিছু করলে কঠোর সাজার মুখে পড়তে হবে।
এমনিতে ওই দু’দিন দিল্লির কিছু এলাকায় কার্যত লকডাউন জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে প্রশাসন। দিল্লিবাসীকে দিন দশেক আগে সে কথা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এজন্য আগাম দুঃখ প্রকাশ করেছেন। রাজধানীর অর্ধেকের বেশি এলাকায় বাস, লরি, প্রাইভেট কার চলাচল বন্ধ রাখা হবে। বন্ধ থাকবে বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও। এমনকী বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি ওই দু’দিন কর্মীদের জন্য ওয়ার্ক ফ্রম হোম চালু করেছে।
কিন্তু জামিয়া নিয়ে কর্তৃপক্ষের কঠোর বিজ্ঞপ্তি ঘিরে জল্পনা শুরু হয়েছে। অনেকেই মনে করছে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের প্রতিবাদ আন্দোলনের কথা বিবেচনায় রেখে এই কড়াকড়ি। বিদেশি অতিথিরা রাজধানীতে থাকাকালে কোনও অশান্তির ঘটনা যাতে না ঘটে সে জন্যই এই নির্দেশ।