নারী নির্যাতন থেকে শুরু করে খুন, ধর্ষণ— যোগী আদিত্যনাথের আমলে বারবারই সামনে এসেছে উত্তরপ্রদেশে মহিলাদের দুরাবস্থার কথা। যোগী রাজ্যে মহিলা ও শিশুদের ওপর সংঘটিত অপরাধের অন্ত নেই। এবার সেখানে প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মতো গুরুতর অভিযোগ আনলেন স্কুলেরই এক দল ছাত্রী। অভিযোগ, নিজের ঘরে ঢেকে দিনের পর দিন শ্লীলতাহানি করতেন প্রিন্সিপাল! প্রতিবাদ জানাতে গেলে জুটতো মারধর। এমনকী এই বিষয়ে অভিভাবকদের নিয়ে এসে নালিশ জানিয়েও লাভ হয়নি। উল্টে প্রিন্সিপালের হাতে প্রহৃত হয়েছেন তাঁরাও!
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের একটি স্কুলের। সূত্রের খবর, সম্প্রতি ওই প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে রক্ত দিয়ে চিঠি লেখেন স্কুলের দুই ছাত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে চিঠি পেয়ে নড়ে চড়ে বসে পুলিশ। এরপরই অভিযুক্ত প্রিন্সিপালকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত প্রিন্সিপালের নাম ড. রাজীব পান্ডে। তাঁর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি, মারধর সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গাজিয়াবাদে।
ছাত্রীদের অভিযোগ, পড়াশোনার নাম করে স্কুলের অল্প বয়সী মেয়েদের নিজের ঘরে ডেকে জোর করে শ্লীলতাহানি করতেন প্রিন্সিপাল। প্রতিবাদ জানালে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি দিতেন। সম্প্রতি কয়েকজন ছাত্রী প্রিন্সিপালের এই আচরনের কথা বাড়িতে জানান। অভিভাবকেরা ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে এলে প্রিন্সিপাল তাঁদেরকেও মারধর করেন বলে অভিযোগ। ছাত্রীদের পরিবারের দাবি, পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি। পুলিশ তদন্তে নেমে থানায় ডেকে হয়রানি করত। এরপরই রক্ত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে চিঠি লেখার সিদ্ধান্ত নেন দুই ছাত্রী। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে যোগী সরকার।