মিনিট কয়েকের জন্য বাস থামিয়ে তিনি নামাজ পড়ার অনুমতি দিয়েছিলেন যাত্রীদের। এই ছিল তাঁর ‘অপরাধ’। আর তারই শাস্তি হিসেবে চাকরি খোয়াতে হয় ইউপি স্টেট ট্রান্সপোর্টের বাসের বছর ৩২-এর এক কন্ডাক্টরকে। এরপরই অর্থাভাবে চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন সেই কন্ডাক্টর!
প্রসঙ্গত, গত ৩ জুন দিল্লি যাওয়ার পথে বারেলি-দিল্লি জাতীয় সড়কে দু’মিনিট গাড়ি থামিয়ে দুই যাত্রীকে নমাজ পড়ার অনুমতি দেন মোহিত যাদব নামের ওই কন্ডাক্টর। আর তাই সাসপেন্ড করা হয় তাঁকে। গত রবিবার রাতে নিখোঁজ হন মোহিত যাদব। পরদিন সকালে বাড়ির কাছে রেললাইনের ধারে তাঁর দেহ পাওয়া যায়।মোহিত উত্তরপ্রদেশের মৈনপুরীর ঘিরর থানার নাগলা খুশালি এলাকার বাসিন্দা। ইউপিএসআরটিসি-তে চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসেবে ৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করে প্রায় ১৭ হাজার টাকা মাসিক বেতন পেতেন তিনি।
চালক কে পি সিং ও মোহিত— দুজনকেই কাজ থেকে বরখাস্ত করা হয়। তবে কে পি সিং চুক্তিবদ্ধ হওয়ায় তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। সিং এখনও সাসপেনশনের মধ্যে রয়েছেন এবং তার ৫০ শতাংশ বেতন কাটছাঁট করে চাকরি ধরে রেখেছেন। তবে মোহিতের চাকরি চলে যায়। এর আগে গত ৫ জুন ওই চালক ও কন্ডাক্টরকে ‘সাময়িকভাবে’ সাসপেন্ড করা হয়। মৃত্যুর কিছু ক্ষণ আগে এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সঙ্গে কথা হয়েছিল মোহিতের। নাম প্রকাশ না করে তাঁর সেই বন্ধু বলেন, আমরা একসঙ্গে কাজ করতাম। রবিবার রাতে ও যখন আমাকে ফোন করে, তখন তাঁর কাছে ফোন রিচার্জ করারও টাকা ছিল না। অর্থাভাবের কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিল মোহিত।