কুকি ও মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে মণিপুরে কিছুতেই নিভছে না হিংসার আগুন। এই ‘ডবল ইঞ্জিন’ রাজ্যে এখনও পর্যন্ত দেড়শো জনেরও বেশি মানুষের প্রাণ গিয়েছে। বিপুল পরিমাণ সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। গণধর্ষণ, নগ্ন করে ঘোরানোর মত ঘটনা ঘটেছে। এমনকি জীবন্ত পুড়িয়ে মারাও হয়েছে মানুষকে। তবে এতকিছুর পরও এখনও মণিপুর-সংক্রান্ত আলোচনা নেই সংসদের বাদল অধিবেশনে! যদিও প্রথম থেকেই রাজ্যসভার বিধি ২৬৭-এর অধীনে মণিপুরে জাতিগত হিংসা নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়ে আসছে বিরোধীরা। এবার যেমন তারা মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিবৃতি দাবি করতেই রাজ্যসভায় চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকর সাফ জানিয়ে দিলেন, প্রধানমন্ত্রীকে সংসদে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিতে পারি না।
একই সময়ে, বিরোধী নেতা মল্লিকার্জুন খড়গে বলেছিলেন যে তিনি তার নোটিশে আটটি পয়েন্টর উল্লেখ করেছেন কেন মণিপুর ইস্যুটি বিধি ২৬৭ এর অধীনে আলোচনা করা উচিত এবং প্রধানমন্ত্রীকে হাউসে একটি বিবৃতি দেওয়া উচিত। তিনি মণিপুর নিহত ও আহতের সংখ্যাও এদিন উল্লেখ করেছেন। এর পরেই সংসদে প্রধানমন্ত্রী মোদীর উপস্থিতির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে বিরোধী নেতারা। তবে চেয়ারম্যান রাজি হননি।