হরিয়ানার নুহর ঘটনার জেরে রাজধানী দিল্লির নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ এবং পাঞ্জাব প্রশাসনও হরিয়ানা লাগোয়া এলাকায় হাই অ্যালার্ট জারি করেছে।
এদিকে, মণিপুরের জাতি দাঙ্গা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ গোটা বিজেপি পরিবার নীরব থাকলেও হরিয়ানার ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন পদ্ম শিবিরের নেতারা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাও ইন্দ্রজিৎ সিং গুরুগ্রাম ও নুহর ঘটনা নিয়ে রাজ্যের বিজেপি সরকারকে একহাত নিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘ধর্মীয় মিছিলে অস্ত্র এল কী করে? প্রশাসন কী করছিল।’ এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দীর্ঘদিন গুরুগ্রামের সাংসদ।
মঙ্গলবার সকালে মুখ খুলেছেন হরিয়ানার বিজেপির হরিয়ানার আর এক সাংসদ দীপেন্দ্র হুদা বুধবার সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে রাজ্যের সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনাকে চূড়ান্ত প্রশাসনিক ব্যর্থতা বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁর বক্তব্য, রাজ্য সরকার ও পুলিশ সময়মতো সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে হিংসা এড়ানো যেত।
এমনিতেই হরিয়ানার বিজেপি সরকার শরিকি সমস্যায় জর্জরিত। তার উপর নুহ ও গুরুগ্রামের ঘটনা মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরকে নতুন করে বিপাকে ফেলে দিয়েছে।
অনেক দিন ধরেই বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের কু-নজরে রয়েছেন তিনি। এর আগে দু বার তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু প্রবীণ নেতাকে শেষ পর্যন্ত সরাননি নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরা। কিন্তু বিজেপি শাসিত রাজ্যে দাঙ্গা হয় না, বিজেপির এই প্রচার হরিয়ানার ঘটনায় বড় ধরনের প্রশ্ন চিহ্নের মুখে পড়ে গেল। এই সুযোগে খট্টরকে সরানোর দাবি সামনে চলে আসতে পারে।