সম্প্রতিই উত্তরবঙ্গ থেকে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার সেরে ফেরার সময় হেলিকপ্টার থেকে নামতে গিয়ে পায়ে ও কোমরে চোট পেয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনার সপ্তাহ খানেক কেটে গিয়েছে। চিকিৎসকরা তাঁকে বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন। এখনও হাঁটতে খানিকটা সমস্যা হচ্ছে তাঁর। নিজেই সে কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে সশরীরে জনতার দরবারে পৌঁছতে না পারায় ক্ষমাও চাইলেন তিনি। প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার জলপাইগুড়িতে পঞ্চায়েত ভোটপ্রচার সেরে বাগডোগরা হয়ে কলকাতা ফেরার পথে দুর্যোগের কবলে পড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রবল ঝড়বৃষ্টির জেরে আচমকা জোরে জোরে নড়তে শুরু করে তাঁর হেলিকপ্টারটি। সঙ্গে সঙ্গে হেলিকপ্টারের মুখ ঘুরিয়ে দ্রুত সেবক এয়ারবেসে অবতরণ করান পাইলট। বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পান তৃণমূল সুপ্রিমো। তবে লাফিয়ে নামতে গিয়ে পা ও কোমরে চোট পান তিনি।
এরপর কলকাতায় ফিরে এসএসকেএম হাসপাতালে এমআরআই হয় মমতার। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হননি তিনি। চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে বাড়িতেই চলছে চিকিৎসা। এদিন এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলে দেন, “পায়ে, কোমরে ব্যথা আছে। লিগামেন্ট ড্যামেজ হয়েছে। বাড়িতেই রোজ চার ঘণ্টা করে থেরাপি চলছে। এখনও হাঁটতে খানিকটা অসুবিধা হচ্ছে। তবে জীবনে তো কম মার খাইনি। নিশ্চয়ই তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাব।” এরপরই তৃণমূল নেত্রীর কণ্ঠে শোনা যায় আক্ষেপের সুর। চোটের কারণে তিনি পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে মানুষের কাছে পৌঁছতে পারছেন না। বিভিন্ন জেলায় ভার্চুয়ালি সভা করছেন। তাই আমজনতার কাছে তিনি ক্ষমাপ্রার্থী তিনি। মমতার কথায়, “এই চোট নিয়ে অনেকেই টিটকিরি করছেন। আমি বলব এটা ঠিক নয়। তবে আমার খারাপ লাগছে যে মানুষের কাছে পৌঁছতে পারলাম না। আপনাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারলাম না। তার জন্য আমি ক্ষমা চাইছি।” তবে পঞ্চায়েতে জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মমতা। বাংলাজুড়ে উন্নয়নই যে তৃণমূলের জয়ের মূল কারণ হবে, তা নিয়ে নিশ্চিত তৃণমূল সুপ্রিমো।