শেষমেশ সত্যি হল জল্পনা। সাগরদিঘি উপনির্বাচনে জয়লাভের তিন মাসের মধ্যেই হাত শিবির ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন সাগরদিঘির কংগ্রেস বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস৷। ফলত, রাজ্য বিধানসভায় আবারও ১ থেকে শূন্যতে ফিরে গেল কংগ্রেস৷ আর দল বদলেই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বায়রন৷ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে বসে বায়রন দাবি করলেন, তাঁর জয়ে নাকি কংগ্রেসের কোনও ভূমিকাই ছিল না৷ তিনি। বরাবরই তৃণমূলের লোক ছিলেন৷ এদিন বায়রন বলেন, ‘‘আমি যে জয়ী হয়েছি, এর পিছনে কংগ্রেসের কোনও অবদান ছিল না৷ আমরা বরাবরই টিএমসি করে আসছি৷ টিএমসি থেকে আমি টিকিট নেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম৷ টিকিট পেয়ে উঠিনি বলে আমায় টিকিট কংগ্রেসের থেকে নিতে হয়েছিল৷ কিন্তু, এতে কংগ্রেসের কোনও অবদান নেই৷’’ এখানেই থেমে থাকেননি বায়রন৷ ‘‘যদি অবদান থাকত, তাহলে ২০২১ সালে একটা সিটও কেন কংগ্রেস জিততে পারেনি৷ আমি যদি বিশ্বাসঘাতকতা করে থাকি, তাহলে আগামিদিনে জয়ী হতে পারব কি না, তা জনগণ বিচার করবে৷ আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আজ তৃণমূলে জয়েন করার পরে আমি আরও বিপুল ভোটে জয়ী হব’’, বলেন তিনি।
পাশাপাশি বায়রনের দাবি, কংগ্রেসে থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করা যাচ্ছিল না৷ তাঁর মতে, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তৃণমূল ছাড়া অন্য কোনও প্ল্যাটফর্ম তিনি খুঁজে পাননি৷ তাঁর কথায়, ‘‘কংগ্রেসে থেকে কাজ করা যাচ্ছিল না এটা বাস্তব পরিস্থিতি। তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া আর মঞ্চ ছিল না। অধীর চৌধুরী বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলছে না। লড়াই করছে না৷ কোনও মন্তব্য করেন না।’’ বায়রনের তৃণমূলে যোগ প্রসঙ্গে অভিষেক জানান, শুধুমাত্র সোমবারের পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের সভাই নয়, এর আগেও তাঁর একাধিক সভায় এসেছেন বায়রন৷ তাঁর সঙ্গে একাধিক বার যোগাযোগ করেছেন৷ তবে মাঝখানে শরীর স্বাস্থ্যে কিছু সমস্যা থাকায় তৃণমূলে যোগ দেওয়া হয়ে ওঠেনি৷ ‘‘ভোটের আগে উনি একাধিকবার আমাদের সাথে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন৷ সেটা হয়নি৷ ওনার পরিবার তৃণমূল কংগ্রেস পরিবার৷ জেতার আগেই মনঃস্থির করেছিলেন যোগ দেবেন তৃণমূলে। একাধিক ক্যাম্পে আসতে চেয়েছিল। গতরাতে ফোন করে ও, আমি বলি আজ চলে আসো’’, জানিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।