দেশের রাজধানীতে তাঁদের রাস্তায় ফেলে মারধর করেছে পুলিশ। দাঙ্গার অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের হয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে প্রাণ বাঁচাতে লুকিয়ে রয়েছেন দেশের প্রথম সারির কুস্তিগিররা। এশিয়ান গেমসে সোনাজয়ী ভিনেশ ফোগাটের স্বামী সোমবীর রাঠি জানিয়েছেন, আপাতত দিল্লিতে থাকলেও নিজেদের ঠিকানা প্রকাশ্যে আনতে চাইছেন না তাঁরা। জানা গিয়েছে, আইনজীবীদের সঙ্গেও আলোচনা করছেন কুস্তিগিররা।
ভিনেশ ফোগাট, সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়া-সহ সমস্ত কুস্তিগিরকে আটক করা হয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দিল্লি পুলিশ জানায়, মোট সাতটি ধারায় এফআইআর করা হয়েছে কুস্তিগিরদের বিরুদ্ধে। তার মধ্যে রয়েছে দাঙ্গা বাঁধানো, বেআইনি জমায়েত, সরকারি আধিকারিকদের কাজে বাধা দেওয়া মতো গুরুতর অভিযোগ। প্রায় দশ ঘণ্টা কুস্তিগিরদের থানায় আটকে রাখা হয়। যন্তর মন্তরেও ধরনাস্থল থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে কুস্তিগিরদের। তা সত্ত্বেও আগামীদিনে এই প্রতিবাদ চালিয়ে নিয়ে যাবেন বলেই জানিয়েছেন বজরং পুনিয়ারা।
অন্যদিকে দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার সুমন নালওয়া জানিয়েছেন, ‘গত ৩৮দিন ধরে ধর্ণারত কুস্তিগিরদের সবরকমভাবে সহযোগিতা করা হয়েছে। কিন্তু রবিবার অনেক অনুরোধ সত্ত্বেও তাঁরা সমস্ত নিয়ম ভেঙেছেন। সেই জন্যই আটক করা হয়েছে কুস্তিগিরদের। তবে আগামী দিনে কুস্তিগিররা ধরনার আবেদন করলে তাঁদের অনুমতি দেওয়া হবে। কিন্তু যন্তর মন্তরে আর ধরনায় বসতে পারবেন না কুস্তিগিররা’।
দিল্লি পুলিশের এহেন হুমকির জেরে আত্মগোপন করতে বাধ্য হয়েছেন কুস্তিগিররা। সোমবার কুস্তিগির সোমবীর জানিয়েছেন, ‘আমরা আপাতত দিল্লিতেই লুকিয়ে রয়েছি। কিন্তু কোথায় থাকছি, সেই বিষয়ে প্রশ্ন করবেন না। এই মূহূর্তে নিজেদের ঠিকানা প্রকাশ করা সম্ভব নয়’। পরবর্তীকালে কীভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন, আপাতত সেই রণকৌশল ঠিক করবেন কুস্তিগিররা। ততদিন পর্যন্ত বাধ্য হয়ে তাঁদের লুকিয়ে থাকতে হবে। আইনি লড়াইয়ের জন্যও আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করছেন ভিনেশরা।