আগামীকাল, অর্থাৎ মঙ্গলবার জনসংযোগ যাত্রায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় পৌঁছবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মোট চার দিন ওই জেলায় থাকার কথা তাঁর জেলার বিভিন্ন এলাকায় তাঁর নানাবিধ কর্মসূচি রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে নন্দীগ্রামও। এদিন অভিষেকের কর্মসূচির প্রথম স্টেশন পাঁশকুড়া পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্র। বুধবার অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রার কর্মসূচি রয়েছে পটাশপুরে। বৃহস্পতিবার তাঁর গন্তব্য হবে রামনগর। চতুর্থ তথা শেষ দিন শুক্রবার নন্দকুমারে থাকবেন অভিষেক। বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে রামনগরের কর্মসূচি সেরে তিনি যাবেন চণ্ডীপুরে। সেখান থেকে পায়ে হেঁটে মিছিল করে যাবেন নন্দীগ্রামে। সেখানেই শিবিরে রাত্রিবাস করবেন তিনি। শীর্ষনেতৃত্বের থেকে এই নির্দেশ পেয়ে সেই মর্মে প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। ‘‘চার দিন ধরে আমরা অভিষেকের কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ত থাকব। সেই কর্মসূচি অনুযায়ীই ১লা জুন (বৃহস্পতিবার) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম যাবেন। তিনি সেখানে রাতে থাকবেন বলেই আমাদের জানানো হয়েছে। এই বিষয়ে নেতৃত্বের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তাঁদের নির্দেশ মতোই আমরা কাজ করছি’’, জানান রাজ্যের মন্ত্রী তথা রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি।
প্রসঙ্গত, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের মতে, সামনে পঞ্চায়েত ভোট হলেও অভিষেকের নজর আসলে রয়েছে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের দিকে। আর পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দু’টি লোকসভা আসন কাঁথি এবং তমলুক ধরে রাখতে চান তিনি। আপাতত ওই দু’টি কেন্দ্রের সাংসদ শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারী (কাঁথি) এবং শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী (তমলুক)। আগামী লোকসভা ভোটে তাঁরা যে তৃণমূলের টিকিট পাবেন না, তা একপ্রকার নিশ্চিত। ফলে অভিষেককে এক দিকে যেমন বিকল্প প্রার্থীর বন্দোবস্ত করতে হবে, তেমনই অন্য দিকে দু’টি আসনই দখল করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুকে বার্তাও দিতে হবে। তার প্রাথমিক কাজটা এই যাত্রার মধ্য দিয়েই করতে চাইছেন অভিষেক। এবং সেই কারণে অনেকটা প্রত্যাশিত ভাবে নন্দীগ্রামকেই বেছে নিয়েছেন তিনি। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, গত একমাসে যেখানেই অভিষেক তাঁর যাত্রা নিয়ে পৌঁছেছেন, সেখানেই জনতার ঢল নেমেছে। নন্দীগ্রামেও একই ঘটনা ঘটবে, এমনটাই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।