প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সদ্য সমাপ্ত অস্ট্রেলিয়া সফর নিয়ে চরম উল্লসিত বিজেপি। দলীয় নেতাদের কাছে ‘বিশ্বগুরু’ রূপে বন্দিত হচ্ছেন তিনি। গেরুয়া শিবিরের মুখে শোনা যাচ্ছে ‘ভারত আমার জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লভে’। এহেন পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি ভারতীয় রাজ্যের পড়ুয়াদের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা চাপাল অস্ট্রেলিয়া। তারপরই একের পর এক কটাক্ষ উড়ে আসছে বিরোধী শিবির থেকে।
আম্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ‘ভিসা ফ্রড’ বা জালিয়াতির অভিযোগে ভারতের ছ’টি রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের পড়ুয়াদের ভিসায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে অস্ট্রেলিয়ার দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়। সেগুলি হচ্ছে– ভিক্টোরিয়ার ফেডারেশন ইউনিভার্সিটি ও নিউ সাউথ ওয়েলসের ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটি। তাদের অভিযোগ, জাল ভিসা নিয়ে বহু পড়ুয়া আবেদন করছেন। এবং এই চক্র কোথা থেকে কীভাবে বা কোন পদ্ধতিতে কাজ করছে সেই সংক্রান্ত একটি নির্দিষ্ট প্যাটার্ন নজরে এসেছে। তাই গজরাট, উত্তরপ্রদেশ, পা়ঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড ও কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরের পড়ুয়াদের ভিসায় আপাতত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
২০১৯ সালে ভারত থেকে প্রায় ৭৫ হাজার পড়ুয়া ভর্তি নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। চলতি বছর তার থেকেও বেশি ছাত্র নেওয়ার কথা তাদের। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার সরকার জানিয়েছে, ভারত থেকে চারটি ভিসার আবেদনের একটি জাল বলে দেখা যাচ্ছে।
এদিকে, ভিসা ব্যানের পরই একের পর এক কটাক্ষ উড়ে আসছে বিরোধী শিবির থেকে। কংগ্রেসের বক্তব্য সিডনিতে জনসভা করাই এবার প্রধানমন্ত্রী মোদীর লক্ষ্য ছিল। কর্ণাটক বিপর্যয়ের পরে তিনি দেখাতে চেয়েছিলেন, বিদেশে তাঁর সমাদর কমেনি। তাই কোয়াড সম্মেলন বাতিল হলেও তিনি অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী মার্চেই ভারত সফর করে গিয়েছেন। ফলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন কিছু হওয়ার ছিল না।