তৎপর রাজ্য সরকার। বাংলার কিছু জায়গায় বেআইনি বাজি কারখানায় পর পর বিস্ফোরণের ঘটনায় এবার রাজ্য পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা বৈঠক করলেন নবান্নে। নবান্নের এই বৈঠকে মেদিনীপুর এবং বাঁকুড়া জেলার পুলিশ সুপারকে ডিজির ভৎসনার মুখে পড়তে হয়। দীর্ঘক্ষণ ধরে জেলার পুলিশ সুপার ও কমিশনারেটের কমিশনারদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠক করেন ডিজি। জেলায় জেলায় বেআইনি বাজি কারবারের সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে এবং কোন জেলায় কত বাজি আটক হল তার রিপোর্ট অতি দ্রুত নবান্নে পাঠানোর নির্দেশ দেন ডিজি। মঙ্গলবার নবান্নের ওই বৈঠকে রাজ্য পুলিশের ডিজি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এডিজি আইনশৃঙ্খলা মনোজ বর্মা। নবান্ন থেকে তাঁরা পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার এবং জেলা পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে মেদিনীপুর এবং বাঁকুড়া জেলার পুলিশ সুপারদের তাঁদের দায়িত্ব এবং কর্তব্যের কথা স্মরণ করিয়ে সতর্ক করা হয়।
পাশাপাশি জানা গিয়েছে, ওই সুপারদের সঙ্গে কথা বলার সময় উদ্ধার হওয়া বেআইনি আতশবাজির পরিমাণ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন ডিজি ।মঙ্গলবার দুপুরে নবান্নে ওই বৈঠক শুরু হলেও তা টানা তিন ঘন্টা চলে। বৈঠকে জেলার পুলিশ সুপারদের বিশেষ নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছে, তাঁরা যেন জেলার গোয়েন্দা বিভাগকে সক্রিয় করেন। একই সঙ্গে বেআইনি আতশবাজি কতটা উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, তার তালিকা লিখিত ভাবে জমা দিতে বলা হয়েছে এসপি দের। এ ছাড়া বেআইনি বাজি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত কত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা-ও জানাতে বলা হয়েছে রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের তরফে। জেলার পুলিশ সুপারদের জেলার অন্তর্গত প্রতিটি থানাভিত্তিক তালিকা দ্রুত জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য।