শুক্রবার রাতে ২০০০ টাকার নোট নিয়ে বড় ঘোষণার পর থেকেই দেশজুড়ে হইচই পড়ে গিয়েছে। সেদিন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আরবিআই-এর তরফে জানানো হয়, কারও কাছে ২০০০ টাকার নোট থাকলে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা ব্যাঙ্কে জমা করে ফেলুন। একবারে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত জমা করা যাবে। যার ফলে নতুন করে ‘নোটবন্দি’র জুজু দেখছে দেশবাসী। আবারও শুরু হয়েছে সোনা কেনার হিড়িক। নোট বাতিলের সময় যেমনটা হয়েছিল। ব্যাঙ্কের দীর্ঘ লাইন এড়াতে সোনা কেনাকেই বেছে নিচ্ছেন অনেকে। বিশেষ করে যারা নিজেদের টাকার হিসেব গোপন করতে চান তাঁরাই সোনা কিনতে বেশি আগ্রহী এখন।
জিএসটি-সহ সোনার বর্তমান বাজার দর প্রায় ৬৩ হাজার ৮০০ টাকা। তবে ২ হাজার টাকা দিয়ে সোনা কেনার জন্য ক্রেতাদের দিতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। ১০ গ্রাম সোনা কেনার জন্য দিতে হচ্ছে প্রায় ৬৭ হাজার টাকা। এই হিসেব অবশ্য গত শনিবারের মুম্বইয়ের। এখনও ২ হাজার টাকার নোট বাতিল হতে সময় দীর্ঘ ৪ মাস। সোনা কিনে আসলে ব্যাঙ্কের কাছ থেকে ‘কর’ বাঁচাতে চাইছেন অনেকে। কারণ, ২০১৬ সালে নোট বাতিলের সময় যারা নোট জমা দিয়েছিলেন তাঁরা করের নোটিশ পেয়েছেন গত ২০২১ সালেও। সেই পরিস্থিতি থেকেই বাঁচতে চান একাংশ।