আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এখন দেশের সর্বত্রই ডালপালা মেলছে শিশুশ্রম। অতি দরিদ্র পরিবারে শিশুদের স্কুলে পাঠানোর পরিবর্তে কাজে পাঠানোর তাগিদ বেশি হওয়ায় বহু ছেলে-মেয়ে স্কুলের বাইরে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে। তার ওপর কোভিডেরও ব্যাপক প্রভাব পড়েছে শিক্ষাক্ষেত্রে। আর সব মিলিয়েই স্কুলছুটের সংখ্যা বাড়ছে দেশে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশে প্রাথমিক স্তরে প্রায় সাড়ে নয় লাখ শিশু স্কুলছুট। আর এর মধ্যে অধিকাংশ শিশুই ‘ডবল ইঞ্জিন’ শাসিত উত্তরপ্রদেশের।
লোকসভায় লিখিত ভাবে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশে স্কুলছুট পড়ুয়ার সংখ্যা সবথেকে বেশি। উত্তরপ্রদেশের পরই রয়েছে বিহার। পাশাপাশি, গুজরাতের স্কুলছুট পড়ুয়ার সংখ্যার বাড়বাড়ন্তও শিক্ষামন্ত্রকের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রাথমিক স্তরে ৯,৩০,৫৩১ জন শিশু স্কুলছুট। যার মধ্যে প্রায় ৫ লাখ ছেলে এবং সাড়ে ৪ লাখ মেয়ে। প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশে প্রায় ৪ লাখ শিশু স্কুলে আসা ছেড়ে দিয়েছে। বিহারে প্রায় দেড় লাখ শিশু এবং গুজরাতে ১ লাখ শিশু স্কুলছুট। অর্থনৈতিক সাহায্য, ছাত্রছাত্রীদের নানান সুবিধা দেওয়া সত্ত্বেও কেন আগামী প্রজন্ম স্কুলমুখী হচ্ছে না, তা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন প্রশাসন।