মহারাষ্ট্রে পথকুকুরদের সংখ্যাবৃদ্ধি রুখতে সে রাজ্যের বিধানসভায় পথকুকুরদের আসাম-সহ উত্তরপূর্ব ভারতের একাধিক রাজ্যে পাঠানোর প্রস্তাব পেশ করেছিলেন মহারাষ্ট্রের বিধায়ক বাচ্চু কাড়ু। আর তা নিয়েই শুক্রবার আসাম বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনে হইহই কাণ্ড বেঁধে গেল। গতকাল বাচ্চু কাড়ুর মন্তব্যের বিরুদ্ধে আসামের বিরোধী দলের নেতারা প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠেন। এর ফলে আসামের রাজ্যপাল গুলাব চাঁদ কাটারিয়াকে তাঁর ভাষণ সংক্ষিপ্ত করতে হয়। বাজেট অধিবেশনের প্রারম্ভিক ভাষণের নির্ধারিত সময় থেকে ১৫ মিনিট কম বলেন রাজ্যপাল।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের বিধায়ক বাচ্চু কাড়ু মহারাষ্ট্র বিধানসভায় পথকুকুরদের আসাম-সহ উত্তরপূর্ব ভারতের একাধিক রাজ্যে পাঠানোর প্রস্তাব পেশ করেন। তাঁর নিজের রাজ্যে কুকুরদের সংখ্যাবৃদ্ধি রুখতেই এমন প্রস্তাব দেন তিনি। প্রকারন্তরে বিধায়ক উত্তরপূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের খাদ্যতালিকায় কুকুরের মাংস থাকাকেই ইঙ্গিত করেছিলেন। এই মন্তব্যের প্রতিবাদ উঠে আসে আসামের কংগ্রেস নেতাদের পক্ষ থেকে। রাজ্যের কংগ্রেস বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ সরাসরি প্রশ্ন তোলেন যে, আসাম সরকার কেন কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি মহারাষ্ট্রের বিধায়কের বিরুদ্ধে।
পাশাপাশি, তিনি উদাহরণ হিসেবে টেনে আনেন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মন্তব্য করায় কংগ্রেস দলের নেতা পবন খেরাকে গ্রেফতারির বিষয়টিও। এক ধাপ এগিয়ে বিধায়ক রফিকুল ইসলাম স্পিকার বিশ্বজিৎ দাইমারির কাছে আবেদন জানান যে বাচ্চু কাড়ুকে অবিলম্বে আসামের বিধানসভায় এসে তাঁর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। পাশাপাশি, নির্দল বিধায়ক অখিল গগৈ এবং সিপিএম বিধায়ক মনোরঞ্জন তালুকদারও সুর চড়ান বাচ্চু কাড়ুকে গ্রেফতারির সপক্ষে।