নবান্নের প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার নবান্ন-সহ রাজ্যের অন্যান্য সরকারি দফতরে হাজিরার হার ছিল নব্বই শতাংশের বেশি। উল্লেখ্য, ডিএ আন্দোলনে কোন কোন সরকারি কর্মী অংশ নিচ্ছেন, সেদিকে কড়া নজর রাখতে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল সরকার। কর্মচারীদের অফিসে ঢোকা এবং বেরোনোর ওপর ছিল সরকারের নজর। পাশাপাশি, সারাদিনে দু’বার হাজিরা খাতায় সই করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সরকারি কর্মীদের।
এই আবহে রাজ্য সরকারের দাবি, দিনের শেষে দেখা গিয়েছে নব্বই শতাংশের বেশি হাজিরা ছিল শুক্রবার। এদিকে জেলাশাসকদের সরকার নির্দেশ দিয়েছে, অনুপস্থিতি সংক্রান্ত রিপোর্ট পাঠাতে হবে নবান্নে।
সরকারের তরফে জানানো হয়ছে, পশ্চিমবঙ্গের যে সরকারি কর্মচারী শুক্রবার অফিসে না গেলে একদিনের বেতন কাটা যাবে। একদিনের কর্মজীবনে ছেদ পড়বে। যাঁরা অনুপস্থিত থাকবেন, তাঁদের শোকজ করা হবে। শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হলেও শৃঙ্খলামূলক পদক্ষেপ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাজ্য।
এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে উপস্থিতির হার ছিল ১০০ শতাংশ। এছাড়া অন্যান্য দফতরে উপস্থিতির হার ৯০ শতাংশের বেশি। স্বরাষ্ট্র দফতরে কর্মীদের উপস্থিতির হার ছিল ৯৫ শতাংশ, অর্থ দফতরে কর্মীদের উপস্থিতির হার ছিল ৯০ শতাংশ, পর্যটন দফতরে কর্মীদের উপস্থিতির হার ছিল ৯৬.৭৬ শতাংশ, কৃষি দফতরে কর্মীদের উপস্থিতির হার ছিল ৯৪.২ শতাংশ, পঞ্চায়েত দফতরে কর্মীদের উপস্থিতির হার ছিল ৯৩.৪ শতাংশ, স্বাস্থ্য দফতরে কর্মীদের উপস্থিতির হার ছিল ৮২.২১ শতাংশ।