শুক্রবারই বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। দীর্ঘ ১১ ঘণ্টা জিজ্ঞাবাদের পর তাঁর বাড়ি ছাড়েন কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ‘জমির বদলে চাকরি’ দুর্নীতিতে লালুপুত্র তেজস্বীকে তলব করল সিবিআই। শনিবার, আজই তাঁকে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
দিন কয়েক আগেই রাবড়ি দেবী, লালুপ্রসাদ যাদবের বাড়িতে ‘হানা’ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এরপরই শুক্রবার সকাল থেকে তেজস্বীর দিল্লির বাড়ি-সহ মোট ১৫টি ঠিকানায় তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইউপিএ জমানার ‘জমির বদলে চাকরি’ দুর্নীতিতে অন্যতম অভিযুক্ত তেজস্বী। এই মামলায় এর আগেও একাধিকবার তাঁর বিভিন্ন ঠিকানায় তল্লাশি হয়েছে। ইডির তল্লাশির পাশাপাশি এবার দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তেজস্বীকে সিবিআইও তলব করল। এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি তাঁকে সমন পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই নিয়ে গত কয়েকদিনে আম আদমি পার্টির মণীশ সিসোদিয়া, ভারত রাষ্ট্র সমিতির কে কবিতা, এবং লালুর পরিবারের ৩ সদস্যের বাড়িতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি হানা দিল। বাংলায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তৎপরতা চলছেই। স্বাভাবিকভাবেই বিরোধীরা একজোট। একযোগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের ‘বাড়াবাড়ি’র প্রতিবাদে প্রধানমন্ত্রীকে ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়েছে ৮টি বিরোধী দল।
তেজস্বীর বাড়িতে ইডি ‘হানা’ নিয়ে মোদী সরকারকে একহাত নেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। তাঁর দাবি, ইডি-সিবিআইয়ের অপব্যবহার করে জঘন্য ভাবে গণতন্ত্রকে হত্যার চেষ্টা করছে কেন্দ্র। এমনকী তেজস্বীর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও বোনদেরও বিরক্ত করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।