দিন কয়েক আগেই বিরোধীদের ওপর এজেন্সি লেলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছিলেন যে কজন অবিজেপি দলের নেতা, তার মধ্যে তিনি অন্যতম। আর তারপরেই সিবিআইয়ের জেরার মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁর পিতা তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবকে। এবার বাদ গেলেন না তিনি নিজেও। এবার আরজেডি নেতা তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের দিল্লির বাড়ি-সহ ১৫টি ঠিকানায় তল্লাশি অভিযান চালাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। চলতি সপ্তাহেই এই মামলায় আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ এবং তাঁর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ী দেবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। লালু এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের একাধিক ঠিকানায় তল্লাশিও চালানো হয়েছিল। এবার আর এক কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি ‘নিশানা’ করল তেজস্বীকে।
‘জমির বিনিময়ে চাকরি’ মামলায় আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ, তাঁর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ী দেবী-সহ মোট ১৬ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সমন জারি করেছিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। সিবিআইয়ের পেশ করা চার্জশিটের ভিত্তিতে আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে লালুদের জবাব তলব করা হয় ওই সমনে। তার পরেই নতুন করে ‘সক্রিয়তা’ শুরু করেছে সিবিআই এবং ইডি। অসুস্থ লালু এবং তাঁর কন্যা মিসাকে গত মঙ্গলবার এই মামলায় সিবিআই টানা ৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। সোমবার পটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল রাবড়ীকে। রবিবারই সিবিআই এবং ইডির মতো সংস্থাকে অপব্যবহার করার অভিযোগ তুলে মোদীকে চিঠি দেন রাবড়ী-পুত্র তেজস্বী-সহ ৯ জন বিরোধী নেতানেত্রী। ঘটনাচক্রে তার পরই রাবড়ীর বাড়িতে হানা দিল সিবিআই।
