সম্প্রতি সাগরদিঘি বিধানসভা উপনির্বাচনে পরাজিত হয়েছে তৃণমূল। আর তারপরই সেই হারের কারণ খুঁজতে দলীয় স্তরে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব৷ প্রাথমিক একটি রিপোর্ট তৈরি হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সেখানেই উঠে এসেছে একাধিক তথ্য। প্রাথমিক দলীয় রিপোর্টে উঠে এসেছে এই আসসে জয়লাভ করা কখনই সহজ ছিল না তৃণমূলের কাছে। ২০১১ সালে তৃণমূল পেয়েছিল এই আসনে ৩৮.০২ শতাংশ ভোট। বামেরা পেয়েছিল ৩৪.৮৫ শতাংড ভোট। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট ছিল তৃণমূলের। যদিও এই আসনে টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসাবে লড়াই করেছিলেন আমিনুল ইসলাম। কংগ্রেস দল তাঁকে সাসপেন্ড করে। সমর্থন করেন অধীর চৌধুরী। তিনি প্রায় ১৫.৫৭ শতাংশ ভোট পান। তৃণমূল জয় পায় ৪৫৭৪ ভোটে।
২০১৬ সালে বাম-কংগ্রেস জোট হলেও মুর্শিদাবাদে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই হয় তাদের। সেখানে তৃণমূল জেতে মাত্র ৫২১৪ ভোটে। তৃণমূল পায় ২৬.২১ শতাংশ ভোট। কংগ্রেস পায় ২৩.১৬ শতাংশ ভোট। বামেরা পায় ২৩.০৩ শতাংশ ভোট। নির্দল পায় ১৮.৬৭ শতাংশ ভোট। যদিও ২০২১ সালে গোটা রাজ্যেই লড়াই হয় তৃণমূল বনাম বিজেপির বিরুদ্ধে৷ সেখানে তৃণমূল পায় ৫১.০০ শতাংশ ভোট। বিজেপি পায় ২৪.০০ শতাংশ ভোট৷ কংগ্রেস পায় ১৯.০০ শতাংশ ভোট। তৃণমূল প্রায় ৫০২০৬ ভোটে জেতে। উপনির্বাচন আর সরকার গড়ার ভোট নয়। ফলে বাম ও কংগ্রেসের যে ভোট তৃণমূল কংগ্রেসে গিয়েছিল তা আবার ফেরত যায়। এমনকি ২০২১ এর তুলনায় ভোট কমে যায় বিজেপির৷ তাই তৃণমূলের চেয়ে প্রায় ১৩ শতাংশ ভোট বেশি পেয়েছে বাম-কংগ্রেস জোট। এই প্রসঙ্গে তারা উদাহরণ টেনেছেন সমশেরগঞ্জ বিধানসভা আসনের ভোটও৷ যেখানে পরে নির্বাচন হওয়ায় ২০২১ এর বিধানসভা ভোটের সময়ের মতই ভোটের জয়ের ব্যবধান ছিল না।
