গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার সন্ধেয় হানা দিয়েছিল পুলিশ। আর সেই তল্লাশি অভিযানেই
দমদমে এক তান্ত্রিকের বাড়ি থেকে উদ্ধার হল একাধিক বন্যপ্রাণীর দেহাংশ। হরিণের কঙ্কাল, বাঘের চামড়া উদ্ধারের পাশাপাশি সেখানে মিলেছে মানুষের মাথার খুলিও। ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে মূল পাণ্ডা এখনও অধরা। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে দমদমের প্রাইভেট রোড এলাকায়। জানা গেছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার সন্ধেয় দমদম প্রাইভেট রোডের আমবাগান এলাকায় ওই তান্ত্রিকের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। পরে বন দফতর জানিয়েছে, বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়েই সেখানে হানা দিয়েছিলেন আধিকারিকেরা। তল্লাশি চালিয়ে ওই বাড়ি থেকে প্রচুর পরিমাণ বন্য জীবজন্তুর ছাল, দাঁত, হাড়গোড়, কঙ্কাল উদ্ধার করেন তাঁরা।
অভিযোগ, বেআইনিভাবে সেগুলো মজুত করা হয়েছিল। নাগেরবাজার থানার পুলিশ ও বন দফতরের যৌথ অভিযানে উদ্ধার হয় হরিণের কঙ্কাল, বাঘের নখ-দাঁত, ছাল, পাখির দেহাংশ, এমনকী মানুষের মাথার খুলিও। জ্যোতিষ ও তন্ত্র সাধনার নামে এভাবে বেআইনি দ্রব্য বাড়িতে রাখার অভিযোগে মোট তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের নাম রাখাল চৌধুরী, দুলাল অধিকারী ও অরিজিৎ গুপ্ত।
তবে মূল অভিযুক্ত সৌরভ চৌধুরীকে এখনও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তিনি পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে নাগেরবাজার থানার পুলিশ। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, সৌরভের বাবা রাখাল চৌধুরীর নামে এই বাড়ি। দীর্ঘ ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে তাঁরা এখানে বসবাস করছেন। তবে বাড়ির সদস্যরা কেউই বাইরে তেমন মেলামেশা করতেন না। তবে সৌরভের স্ত্রী মিঠু চৌধুরী পুলিশ ও তাঁর আইনজীবীকে স্বামীর গোপন কীর্তির কথা জানিয়ে দিতেই বাড়িতে যৌথ অভিযান চালায় পুলিশ ও বন দফতর।