দোলের দিন সারা শহর জুড়ে কঠোর নিরাপত্তা জারি রেখেছিল কলকাতা পুলিশ। তবুও পুরোপুরি রোখা গেল না বেলেল্লাপনা। মঙ্গলবার দোলে অসভ্যতার অভিযোগে ২১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিন সকাল থেকেই শহরে ছিল কড়া পুলিশি নজরদারি। মোতায়েন ছিল অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী। আজ অর্থাৎ বুধবার হোলিতেও থাকছে ২৭০০ পুলিশ। রাস্তার পাশাপাশি ঘাটগুলিতেও ছিল কড়া নজরদারি। ৬৬টি ঘাটে ছিল পুলিশ প্রহরা। এর মধ্যে যেমন গঙ্গার ঘাট রয়েছে, তেমনই রয়েছে কলকাতার পুকুর ও সরোবরের ঘাটগুলি। ৪৩টি ঘাটে ছিল কলকাতা পুলিশের ডিএমজি। বাকিগুলিতে স্থানীয় থানার পুলিশ নজরদারি চালায়। এদিন রঙ খেলার পর স্নান করতে নেমে জলে ডুবে শহরে দু’জনের মৃত্যু হয়। দোলে বন্ধুদের সঙ্গে রঙ খেলার পর দুপুরে মানিকতলা অরবিন্দ পল্লিতে জলাশয়ে স্নান করতে নেমে তলিয়ে যান সুশান্ত পাইন নামে এক ব্যক্তি। ঘটনাস্থলে আসে মানিকতলা থানার পুলিশ। অর্ণব হাজরা নামে নেতাজি নগরের এক যুবক রঙ খেলার পর স্নান করতে নেমে জলে ডুবে মৃত্যু হয় তাঁর। সূত্র জানিয়েছে, ওই দু’জনে জলে নেমেছিলেন মদ্যপান করে।
প্রসঙ্গত, এবছর দোলের দিনই ছিল সবেবরাত। সবেবরাতের জন্য সন্ধে থেকে শহরে ছিল ১৩০০ অতিরিক্ত পুলিশ। দোলের দিন শহরে নেমেছিলেন ২৬ জন ডিসি। সবেবরাতের জন্য রাতে ছিলেন ৩ জন ডিসি। আজও হোলিতে ডিসিরা রাস্তায় থাকবেন। দিন ও রাতে ৪৪টি বাইক টহল দেয়। হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াডের মধ্যে দিনে ছিল ২৭টি ও ১৯টি রাতে। ৫৮টি পিসিআর ভ্যান টহল দেয়। গাড়ির ভিতর থেকে যাতে রং না ছোড়া হয়, সেদিকে কড়া নজর ছিল পুলিশের। তবুও এদিন জোর করে গায়ে রং দেওয়া, গাড়িতে রং ছোড়া –এসব অপরাধে ২১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দোলের শহর থেকে ২৮ লিটার নিষিদ্ধ মদ উদ্ধার হয়েছে। লালবাজার জানিয়েছে, দোলের মতো আজ হোলিতেও রাস্তায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকছে। কোথাও জোর করে রঙ দেওয়া হলে কড়া পদক্ষেপ নেবে পুলিশ।