বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণের অন্যতম দোলযাত্রা পালিত হয় দোলপূর্ণিমা তিথিতে। আজই সেই দোলপূর্ণিমা তিথি পড়ছে। আগামীকাল রঙের উৎসবে মাততে বাংলা। যদিও ভারতের বেশির ভাগ জায়গায় রঙের উৎসব হোলি নামেই পরিচিত। তবে দোল এবং হোলির মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। বাঙালিরা যেদিন দোল খেলে, ঠিক তার পরের দিন হোলি পালিত হয়।
প্রসঙ্গত, রাধা ও কৃষ্ণর প্রেমের কাহিনী উপর ভিত্তি করে দোল উৎসব পালিত হয়। অন্যদিকে, বিষ্ণুর নৃসিংহ অবতারের হাতে হিরণ্যকশিপু বধ হওয়ার পৌরাণিক গল্পের উপর ভিত্তি করে হোলি পালন করা হয়। পঞ্জিকা অনুসারে ফাল্গুন পূর্ণিমার রাতের পরদিন দোল পালন করা হয়। এ বছর দোল উৎসব পালিত হবে ৭ মার্চ এবং হোলি উৎসব হবে ৮ মার্চ।
মনে করা হয়, দোলের দিন রাধা আর তাঁর সখীরা দল রঙ খেলায় মেতে উঠেছিলেন। কথিত আছে, সেদিনই কৃষ্ণ রাধার প্রতি তাঁর প্রেম নিবেদন করেছিলেন। এবং রাধিকাকে ফাগে অর্থাৎ গুঁড়ো রঙে রাঙিয়ে দিয়েছিলেন। শ্রীকৃষ্ণের জন্মভূমি হিসেবে পরিচিত মথুরা ও রাধার জন্মস্থান হিসেবে খ্যাত বৃন্দাবনে ১৬ দিন ধরে এই দোল উৎসব পালিত হয়।
অন্যদিকে, হোলি উৎসব হল রাজা হিরণ্যকশিপুর পুত্র, ভক্ত প্রহ্লাদের কাহিনী। দৈত্যকুলের মধ্যে রাক্ষস রাজা হিরণ্যকশিপুর পুত্র প্রহ্লাদ ছিলেন বিষ্ণু ভক্ত। ছেলের বিষ্ণু ভক্তি দেখে পিতা হিরণ্যকশিপু বোন হোলিকার সাহায্যে ছেলেকে বধ করার চেষ্টা করেন। হোলিকা প্রহ্লাদকে নিয়ে আগুনে ঝাঁপ দিলে বিষ্ণুর কৃপায় আগুন প্রহ্লাদকে স্পর্শ করতে পারে না। বরং আগুনে পুড়ে মরেন খোদ হোলিকা। অশুভকে হারিয়ে শুভ শক্তির এই জয় পালনের জন্যে হোলি পালিত হয়।