এপার-ওপার, দুই বাংলাতেই সমাদৃত হয়েছে ‘হাওয়া’। প্রবলভাবে জনপ্রিয় হয়েছে ‘তুমি বন্ধু কালা পাখি, আমি যেন কী! বসন্ত কালে তোমায় বলতে পারিনি!’ গানটি। এবার সেই গানে গলা মেলালেন নচিকেতা চক্রবর্তী। ‘হাওয়া’ থেকে ‘কারাগার’, একের পর এক কাজ নিয়ে দর্শকদের মন জয় করেছেন ওপার বাংলার অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। হাওয়া ছবির ‘সাদা-কালা’ গান এখন তুমুল ভাইরাল। আর এই ভাইরাল গানেই এবার ধরা পড়ল চঞ্চল-নচিকেতার যুগলবন্দি। যাতে মুগ্ধ হলেন দুই বাংলার শ্রোতারা। এই মুহূর্তে বাংলাদেশ সফরে গিয়েছেন নচিকেতা। গানের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে প্রায় সাত বছর পর নচিকেতার ঢাকা সফর, যা আরও স্মরণীয় করে তুললেন চঞ্চল চৌধুরী। কাঁটাতারের ওপারেও ‘আগুন পাখি’ নচিকেতার ভক্ত সংখ্যা অগুণতি। সেই তালিকায় রয়েছেন খোদ চঞ্চল চৌধুরী। শুক্রবার রাতে ফেসবুকে ২.২৪ মিনিটের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন অভিনেতা। সেখানেই দেখা গেল এক ঘরোয়া গানের আড্ডার আসর। ‘সাদা-কালা’ গান ধরেছেন চঞ্চল, হারমোনিয়ামে রবি চৌধুরী, সোফার ওপর দিকে বসে নচিকেতা। শুরুতে চঞ্চলের গান শুনলেন, এরপর মেলালেন গলা।
উক্ত ভিডিয়োটি শেয়ার করে চঞ্চল চৌধুরী লিখেছেন, “পরিবার পরিজন নিয়ে গতরাতে নচি’দা মানে নচিকেতা চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। বাকিটা ইতিহাস। স্মরণে রাখবার মত চমৎকার স্মৃতি। আড্ডায় উপস্থিত রবি চৌধুরী, চন্দন সিনহা, কবির বকুল, বৃন্দাবন দাস, শাহানাজ খুশী, দিব্য, সৌম্য, উদয়, শান্তা, শুদ্ধ ও বিশেষ মানুষ ইকবাল ভাই।” এরপর তাঁর সংযোজন, “গানে গানে কাটলো অনেকটা সময়।অনেক গল্প তো বটেই। বিশেষ করে দিব্য সৌম্য শুদ্ধকে দেখে নচি’দা খুব খুশী। ওরাও নচি’দাকে পেয়ে মহা খুশী। আমাদের সৌভাগ্য,আমরা বাংলা গানে নচিকেতা চক্রবর্তীর যুগ স্বচক্ষে দেখেছি। নচি’দা,কামনা করি তোমার সুস্থতা আর দীর্ঘায়িত হোক তোমার শিল্পী জীবন।” এই পোস্টের কমেন্ট বক্সে দুই তারকার জন্য উপচে পড়ছে ভালোবাসা। আসলে বাঙালির কাছে নচিকেতা মানেই আবেগ। তাঁর জীবনমুখী গান দশকের পর দশক, প্রজন্মের পর প্রজন্ম মানুষের হৃদয় ছুঁয়েছে। আর বর্তমানে দুই বাংলার অতি প্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে ব্যস্ত মৃণাল সেনের বায়োপিক, ‘পদাতিক’ নিয়ে ব্যস্ত চঞ্চল। যা পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। মৃণাল সেনের চরিত্রে হিসাবে চঞ্চলের লুক ইতিমধ্যেই বহুল আলোচিত চলচ্চিত্রমহলে।