কর্মসংস্থানের উপায় থাকলেও যেন ইচ্ছে নেই মোদী সরকারের। কারণ তথ্য জানার অধিকার আইনে এক সাংবাদিকের করা প্রশ্নের উত্তরে এবার জানা গেল, ভারতীয় রেলের গ্রুপ সি-তে ৩ লক্ষেরও বেশি পদ খালি রয়েছে। প্রায় ১৯ হাজার গেজেটেড আধিকারিক পদের মধ্যে খালি রয়েছে তিন হাজারেরও বেশি পদ। গ্রুপ সি-তে মোট পদের সংখ্যা ১৪ লক্ষ ৭৫ হাজার ৬২৩। তার মধ্যে শূন্য ৩ লক্ষ ১১ হাজার ৪৩৮টি পদের মধ্যে রয়েছে ট্র্যাকপার্সন, পয়েন্টসম্যান, বিদ্যুৎকর্মী, সিগনাল এবং টেলিফোন অপারেটরের পদ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উত্তর-মধ্য রেলের কর্মী সংগঠনের এক নেতা বলছেন, ‘গ্রুপ সি পদে সিংহভাগ শূন্যপদগুলি আছে ইঞ্জিনিয়র, টেকনিশিয়ান্স, করণিক, গার্ড বা ট্রেন ম্যানেজার, স্টেশন মাস্টার, টিকিট কালেক্টর পদে। এর ফলে রেলের দৈনন্দিন পরিষেবা প্রদানে সমস্যা তৈরি হচ্ছে।’ তিনি আরও বলছেন, ‘শূন্যপদের বিষয়টি নিয়ে প্রতিটি বৈঠকেই আলোচনা হয়। প্রশাসনিক আধিকারিকরা বিষয়টি সম্পর্কে সম্যক ওয়াকিবহাল। কিন্তু সরকার স্থায়ী কর্মী নিয়োগে উৎসাহী নয়।’
এ বিষয়ে রেলওয়ে ট্রাফিক সার্ভিসের এক প্রবীণ আধিকারিক জানাচ্ছেন, এত শূন্যপদ, বিশেষ করে গ্রুপ সি পর্যায়ে, চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ তা রেলের দৈনন্দিন পরিষেবা প্রদানে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। পরিষেবার মান উন্নত করতে হলে শূন্যপদ পূরণ একান্ত প্রয়োজন বলেই মনে করেন তিনি। বেসরকারিকরণের পথেই এগিয়ে যাচ্ছে। রেলে যে শূন্যপদের জেরে দৈনন্দিন কার্যকলাপেও সমস্যা হচ্ছে, তা মেনে নিলেন এক রেলওয়ে ম্যানেজারও। তিনি বলেন, ‘আমাকে ডবল শিফটে কাজ করতে হয়। কখনও কখনও তা ১৬ ঘণ্টাও পেরিয়ে যায়। এর কারণ আমাদের পর্যাপ্ত কর্মী নেই। আমি ঠিকমতো ঘুমনোর সময় পাই না। বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো তো দূর অস্ত!’