শেক্সপিয়ার বলেছিলেন, ‘নামে কী আসে যায়’। কিন্তু নাম পরিবর্তন করায় দেশের মধ্যে খুব ‘নাম’ করেছে গেরুয়া শিবির। দেশের বিভিন্ন জায়গা, রাস্তা, প্রতিষ্ঠান, ধর্মস্থানের নাম বদলের হিড়িক চলছে বিগত কয়েক বছর যাবত। কখনও কেন্দ্রীয় সরকার, তো কখনও বিজেপি শাসিত রাজ্য সরকার এলাকার নাম কিংবা প্রতিষ্ঠানের নাম বদলে দিচ্ছে। মূলত, চলতি ইসলামিক নাম বদলে ফেলা হচ্ছে। নাম বদলের এই প্রক্রিয়াকে পাকাপাকি রূপ দিতে একটি কমিশন বা নিগম গঠনের দাবি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি তথা গেরুয়া শিবিরের আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়। সোমবার তাঁর জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ জনস্বার্থের মামলাটি খারিজ করে দিয়ে বলেছে, নাম পরিবর্তন একটি ধারাবাহিক কার্যক্রমে পরিণত হলে দেশে সংঘাতের পরিবেশ বিরাজ করবে। শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতি কেএম জোসেফ এবং বিবি নাগরত্নার বেঞ্চ সোমবার বলেছে, নামের সঙ্গে একটি এলাকার, প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস জড়িত। তাই নাম পরিবর্তনে কোনও পৃথক প্রতিষ্ঠান তৈরির কোনও প্রয়োজন নেই। এই প্রসঙ্গে হিন্দুত্বের প্রশ্নটিও সামনে আসে। বিচারপতি জোসেফ বলেন, হিন্দুত্ব একটি জীবনশৈলী। সমাজ, সংস্কৃতির সব ধারা হিন্দুত্বে এসে মেশে। বিচারপতির আরও বক্তব্য, অতীতে বিদেশিরা ভারত আক্রমণ করেছে, শাসন করেছে। সেই সুবাদে নানা সংস্কৃতির মিশ্রণ হয়েছে ভারতের সমাজ জীবনে। সেই সূত্রে স্থান, প্রতিষ্ঠান, ধর্মস্থানের নাম রাখা হয়েছে।