ডিআরডিও’র ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জের (আইটিআর) টেলিমেন্ট্রি বিভাগের প্রযুক্তি আধিকারিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। আর সেই তিনিই কিনা পাকিস্তানি এজেন্টকে গোপনে মিসাইল পরীক্ষার তথ্য পাচার করলেন। হ্যাঁ, ইতিমধ্যেই ওই অধিকারিককে গ্রেফতার করেছে উড়িষ্যা পুলিশ।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ৫১ বছরের বাবুরাম দে ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জের (আইটিআর) টেলিমেন্ট্রি বিভাগের প্রযুক্তি আধিকারিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর ফোনে নজরদারি চালিয়ে জানা যায়, মিসাইল পরীক্ষার প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত তথ্য এবং প্রযুক্তিগত তথ্য পাক চরকে গোপনে পাঠানো হয়েছে। এমনকী, ওই বিভাগের নিষিদ্ধ এলাকার বেশ কিছু ছবিও পাঠিয়েছেন বাবুরাম বলে অভিযোগ। পাকিস্তানের রাওয়ালপিণ্ডির এক মহিলা চরের কাছে এসব তথ্য পাঠানো হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। তার জেরেই শুক্রবার বালেশ্বর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বাবুরামকে।
পূর্বাঞ্চলের ইন্সপেক্টর জেনারেল হিমাংশু লাল জানান, এই তথ্যের বিনিময়ে শুধু টাকাই নয়, কথোপকথনের মধ্যে দিয়ে যৌনসুখও পেতেন বাবুরাম। পাক চর ও বাবুরামের মধ্যে যৌনতা সংক্রান্ত নানা ভিডিও ও ছবিও আদান-প্রদান হয়েছে। ডিআরডিও আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, আইটিআরএ প্রায় সমস্ত মিসাইল পরীক্ষার সময়ই উপস্থিত ছিলেন বাবুরাম। তাছাড়া ডিআরডিও কর্মী এবং বিজ্ঞানীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার দায়িত্বও ছিল তাঁর উপর। মিসাইল উৎক্ষেপণে অতি স্পর্শকাতর, গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত তথ্যও থাকত বাবুরামের কাছেই। সেই বাবুরামই এবার পুলিশের জালে।