ক্রমশ ভোগান্তি বাড়ছে আমজনতার। সারা পৃথিবী জুড়েই মাথাচাড়া দিয়েছে নতুন খাদ্যসংকট। আন্তর্জাতিক বাজারে পিঁয়াজ, টমেটোর মতো বহু ব্যবহৃত সবজির দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। ফলত পিঁয়াজের ব্যবহারে রাশ টানতে বাধ্য হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। রাষ্ট্রসংঘ ও বিশ্ব ব্যাংকের তরফে ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই সবজির দাম আরও বাড়বে বলেই সতর্কবার্তা দিয়েছে দুই সংস্থা। ইতিমধ্যেই সবজি রপ্তানি করা বন্ধ করেছে বেশ কয়েকটি দেশ। তুরস্ক , মরক্কো, কাজখস্তানের মতো দেশগুলি কিছুদিন আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তারা আপাতত সবজি রপ্তানি স্থগিত রাখতে চলেছে। নিজেদের দেশের জন্য পর্যাপ্ত সবজি মজুত রাখতেই এই সিদ্ধান্ত। তার জেরে নানা দেশেই সবজির অভাব চোখে পড়ছে। এমনকি ব্রিটেনের বেশ কিছু দোকানে সবজি কেনার নির্দিষ্ট পরিমাণ বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এহেন আগুন-দামের নেপথ্যে একাধিক কারণ উঠে আসছে। গত মরশুমে স্পেন ও আফ্রিকার একাধিক অংশে সবজি চাষ হয়নি। প্রবল খরার কারণে কৃষিকাজ ব্যাহত হয়েছে। সেই সঙ্গে পাকিস্তানের বন্যা, মধ্য এশিয়ার প্রবল ঠাণ্ডার জেরেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সবজি চাষ। তাছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে খাদ্যসামগ্রীর দাম আকাশ ছুঁয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ। সংস্থার সিনিয়র অর্থনীতিবিদ সিন্ডি হলেম্যান বলেছেন, “শুধুমাত্র ক্যালোরি গ্রহণ করলেই সঠিক পুষ্টি পাওয়া যায় না। সবজির অভাবে ভিটামিনের খামতি দেখা দেবে মানুষের শরীরে। পুষ্টির অভাবে অসুস্থ হয়ে পড়বেন বহু মানুষ।” ইতিমধ্যেই সবজি খাওয়া কমিয়ে দিতে শুরু করেছেন নানা দেশের সাধারণ মানুষ। আগামী দিনে কতখানি ভয়াবহ আকার নেবে সবজির সমস্যা, তা নিয়ে সারা বিশ্ব জুড়েই ঘনীভূত হয়েছে উদ্বেগ।
