ভয়াবহ নৃশংসতার সাক্ষী রইল কুলতলি। যা দেখে শিউরে উঠছেন প্রত্যেকে। মায়ের প্রেমে বাধা হয়েছিল একরত্তি শিশু। তাই তাকে পিটিয়ে খুন করল খোদ মা-ই! অভিযুক্ত মহিলাকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও গা ঢাকা দিয়েছে তার প্রেমিক। মঙ্গলবার সন্ধ্যেবেলা গুরুতর জখম অবস্থায় চার বছরের মহারূপ পিয়াদাকে স্থানীয় কেল্লাবাজারে ডাক্তারের চেম্বারে নিয়ে যায় তার মা। শিশুটির অবস্থা দেখে সঙ্গে সঙ্গে সেখানকার চিকিৎসক শিশুটিকে জামতলা সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। জামতলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে আশঙ্কাজনক ওই শিশুকে কলকাতায় রেফার করা হয়। কিন্তু কলকাতায় না নিয়ে তাকে জয়নগরের মহিষবাড়িতে একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জানা গেছে, শিশুটির হাত পা ভাঙা ছিল। গায়ে ছিল অজস্র আঘাতের দাগ। তার মা দাবি করতে থাকেন, খাট থেকে পড়ে গিয়ে জখম হয়েছে শিশুটি। কিন্তু সন্দেহ হওয়ায় গ্রামবাসীরা তাকে চেপে ধরেন। তার কথাবার্তায় অসঙ্গতি পেয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি এসে ওই মহিলাকে আটক করে কুলতুলি থানার পুলিশ।
এবিষয়ে গ্রামবাসীরা জানান, কলকাতায় থেকে কাজ করেন মহারূপের বাবা৷ সন্তানকে নিয়ে গ্রামে থাকত তার মা৷ স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই জানেন প্রতিবেশীরা৷ তাদের অভিযোগ, ছেলের জন্যই প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে চলে যেতে পারছিল না ওই মহিলা। কারণ ছেলে মাকে ছেড়ে থাকতে পারত না। তাই প্রেমিকের সঙ্গে একজোট হয়ে চার বছরের সন্তানকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়। বারুইপুর পুলিশ জেলার এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস জানান, তারা শিশুটির মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছেন৷ ছেলেটির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে৷ এখনও পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়নি৷ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিশ। মর্মান্তিক এই ঘটনায় কার্যত হতবাক কুলতুলি ব্লকের কুন্দখালি গ্রামের বাসিন্দারা৷