মহিলাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত। উল্লেখ্য, গ্রুপ পর্বের ম্যাচে পাকিস্তান বড় ব্যবধানে ইংল্যান্ডকে হারাতে পারলে, শেষ চারের লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়ার সামনে নাও পড়তে পারতেন হরমনপ্রীতরা। কিন্তু ১১৪ রানে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে গেল পাকিস্তান। ফলত গ্রুপে রানার্স হয়েই সেমিফাইনাল খেলতে হবে হরমনপ্রীতদের। ফলত এক নম্বর গ্রুপের শীর্ষে শেষ করা অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হতে হবে তাঁদের। না হলে নিউ জিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা বা শ্রীলঙ্কার মধ্যে একটি দলের বিরুদ্ধে খেলতে হত ভারতকে। এই গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় দল হিসাবে কারা শেষ চারে যাবে, তা নির্ভর করছে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং বাংলাদেশ ম্যাচের উপর। কারণ, দক্ষিণ আফ্রিকা জিতলে নিউ জিল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কার মতো তাদেরও পয়েন্ট হবে চার। নেট রান রেটের বিচারে রানার্স হওয়ার সম্ভাবনা বেশি মহিলাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজকদেরই। পাকিস্তানকে ইংল্যান্ডকে হারালেও অবশ্য ভারতের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিশ্চিত ছিল না। কারণ, নেট রান রেটে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন হিদার নাইটরা।
এদিন প্রথমে ব্যাট করে ইংল্যান্ড ৫ উইকেটে ২১৩ রান তোলে। মহিলাদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এই রান পাহাড়প্রমাণ। সেই চাপেই ভেঙে পড়ল পাকিস্তানের ইনিংস। মূলত তিন জন ব্যাটারের দাপটে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বড় রানের ইনিংস গড়ল ইংল্যান্ড। ওপেনার ড্যানি ওয়াট করলেন ৩৩ বলে ৫৯ রান। ৭টি চার এবং ২টি ছক্কা মারলেন তিনি। চার নম্বরে নেমে ন্যাট সিভার ব্রান্ট অপরাজিত থাকলেন ৪০ বলে ৮১ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলে। তাঁর ব্যাট থেকে এল ১২টি চার এবং ১টি ছক্কা। উইকেটরক্ষক অ্যামি জোন্স করলেন ৩১ বলে ৪৭ রান। ৫টি চার এবং ১টি ছয় মারলেন তিনি। তবে ইংল্যান্ডের আর কোনও ব্যাটার উল্লেখযোগ্য রান করতে পারেননি। রান তাড়া করতে নেমে চাপ সামলাতে পারল না নিদা দারের দল। বিসমা মারুফ না খেলায় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দেন নিদা। ৯ উইকেটে মাত্র ৯৯ রানেই শেষ হয়ে গেল তাঁদের ইনিংস। কোনও পাক ব্যাটারই দলকে ভরসা দিতে পারলেন না। বরং ইংরেজ বোলিং আক্রমণের সামনে সকলেই কার্যত নাজেহাল ছিলেন।