প্রত্যাবর্তন শব্দটি যেন তাদের সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে। গতবারের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পর এবছরও ফুটে উঠছে তেমনই চিত্র। মঙ্গলবার রাতে শেষ ষোলোর লড়াইয়ের প্রথম পর্বে জিতে
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট কার্যত নিশ্চিত করে ফেলল রিয়াল মাদ্রিদ। দু’গোলে পিছিয়ে পড়েও লিভারপুলকে ৫-২ গোলে হারিয়ে দিল লস ব্লাঙ্কোরা। জোড়া গোল করলেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র এবং করিম বেঞ্জেমা। একটি গোল এডার মিলিটাওয়ের। পরের পর্বে ঘরের মাঠে খেলবে রিয়াল। ফলত লিভারপুলের কাজ অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়ল। উল্লেখ্য, গত বছর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই দল। ভিনিসিয়াসের একমাত্র গোলে ট্রফি জেতে রিয়াল। মঙ্গলবার ১৩ মিনিটের মধ্যে লিভারপুল দু’গোলে এগিয়ে যাওয়ায় অনেকেই মনে করেছিলেন, ম্যাচ একপেশে হতে চলেছে। রিয়াল সেই ধারণা বদলে দেয় কিছুক্ষণের মধ্যেই । প্রথমার্ধেই সমতা ফেরায় তারা। দ্বিতীয়ার্ধের ২০ মিনিটের মধ্যে ৫-২ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। এরপর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি লিভারপুল।
মঙ্গলবার রিয়ালের ডিফেন্ডারদের শৈথিল্যে চতুর্থ মিনিটেই লিভারপুলকে এগিয়ে দেন ডারউইন নুনেজ। মহম্মদ সালাহর পাস থেকে ব্যাক হিলে গোল করেন তিনি। রিয়াল দ্বিতীয় গোল খায় গোলকিপার থিবো কুর্তোয়ার আচমকা ভুলে। সতীর্থের থেকে পাস পেয়েছিলেন কুর্তোয়া। বুকে রিসিভ করলেও বল নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি। সামনেই ছিলেন সালাহ। চলতি বলে শট নিয়ে গোল করেন তিনি। ২১ মিনিটে এক গোল শোধ করেন ভিনিসিয়াস। বক্সের সামান্য ভেতর থেকে ডান পায়ের বাঁকানো শটে বিপক্ষ গোলকিপারকে পরাস্ত করেন ব্রাজিলীয় উইঙ্গার। রিয়ালের দ্বিতীয় গোল লিভারপুলের গোলকিপার অ্যালিসন বেকারের ভুলে। কুর্তোয়ার মতো তিনিও সতীর্থের থেকে পাস পেয়েছিলেন। তা আবার সতীর্থকেই ফেরাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ভিনিসিয়াস বাধা দেন। বল তাঁর পায়ে লেগে গোলে জড়িয়ে যায়। বিরতির পরেই এগিয়ে যায় রিয়াল। লুকা মদ্রিচের ফ্রিকিক থেকে নিখুঁত হেডারে গোল করেন মিলিটাও। তার পরেই গোল করেন বেঞ্জেমা। রদ্রিগোর সঙ্গে পাস খেলে বক্সের কাছাকাছি পৌঁছে যান তিনি। সেখান থেকে বাঁ পায়ে শট লিভারপুলের ডিফেন্ডার জো গোমেজের গায়ে লেগে বল গোলে ঢোকে। রিয়ালের পঞ্চম গোল আসে প্রতি আক্রমণে। লিভারপুলের ফুটবলারের থেকে বল কেড়ে নেন মদ্রিচ। তিনি পাস দেন ভিনিসিয়াসকে। ভিনির পাস থেকে বিপক্ষের গোলকিপারকে কাটিয়ে বাঁ পায়ের শটে গোল করেন বেঞ্জেমা। অন্য ম্যাচে, ২-০ গোলে আইনট্র্যাখট ফ্রাঙ্কফুর্টকে হারিয়েছে নাপোলি।