বর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের প্রথম দুটি টেস্টেই কার্যত ধরাশায়ী অস্ট্রেলিয়া। দুটি ম্যাচেই কর্তৃত্ব বজায় রেখে জিতেছেন রোহিতরা। দিল্লী টেস্টে খানিকটা লড়াইয়ের সম্ভাবনা তৈরি হলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ের জেরে কামিন্সদের হাত থেকে ম্যাচ বেরিয়ে যায়। ভারতের মাটিতে পর পর দুই টেস্টে হারের পর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। তিনি মনে করেন, ভারতে টেস্ট খেলার আগে একটিও প্রস্তুতি ম্যাচ না খেলাই ছিল সব চেয়ে বিপজ্জনক সিদ্ধান্ত। তার ফলই হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছে অস্ট্রেলিয়া। দু’টি টেস্টই শেষ হয়ে যায় আড়াই দিনে। তা দেখেই অস্ট্রেলিয়ার একাধিক গলদ তুলে ধরেছেন ক্লার্ক। এক অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যমকে ক্লার্ক বলেছেন, ‘‘আমি একেবারেই খুশি হতে পারছি না অস্ট্রেলিয়ার পারফরম্যান্সে। ভারত সফরে নামার আগে একটিও প্রস্তুতি ম্যাচ কেন খেলা হল না? বেঙ্গালুরুতে পাঁচ দিন ধরে নেট বোলারদের খেলে কী লাভ হয়েছে?’’ এখানেই থেমে থাকেননি প্রাক্তন অজি অধিনায়ক। ‘‘এর চেয়ে বড় ভুল আর কিছুই হতে পারে না। অন্তত একটি ম্যাচ খেললে ওরা বুঝত, কী ধরনের পরিবেশে খেলা হতে পারে। কেমন বোলিং হতে পারে’’, বক্তব্য ক্লার্কের।
এর পাশাপাশি, স্পিনারদের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলীয়দের সুইপ মারার ভঙ্গিতেও অসন্তুষ্ট ক্লার্ক। তাঁর কথায়, ‘‘এই ধরনের পিচে ব্যাট করতে নেমেই সুইপ মারা যায় না। স্পিনের বিরুদ্ধেও খেলা যায় না। স্পিনের সঙ্গে খেলতে হবে। যে দিকে বল খেলছে, সে দিকে সোজা ব্যাটে খেলা উচিত। না হলে কোনও ভাবেই স্পিনারদের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। ট্র্যাভিস হেডকে প্রথম টেস্টে না খেলানোও বড় ভুল।’’ এদিকে, টানা হারের ধাক্কা সামলে ওঠার আগে ফের সমস্যায় অস্ট্রেলিয়া শিবির। পরিবারের সদস্যের অসুস্থতার খবর পেয়ে দেশে ফিরলেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। তার সঙ্গেই গোড়ালির চোট ঠিক না হওয়ায় চলতি টেস্ট সিরিজ থেকে ছিটকে গিয়েছেন পেসার জস হ্যাজলউড। চোটের কারণে বাকি সিরিজে নেই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারও। সবমিলিয়ে তৃতীয় টেস্টে নামার আগে বাড়তি চাপে অজি-ব্রিগেড।