বাম আমলে এক জঘন্য পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ত্রিপুরায়। কিন্তু তার থেকেও গত ৫ বছরে বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার ত্রিপুরার বেশি ক্ষতি করেছে। এবার সে রাজ্যে দাঁড়িয়ে ঠিক এই ভাষাতেই গেরুয়া শিবিরকে নিশানা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের অভিযোগ, ত্রিপুরাবাসী ডবল ইঞ্জিন সরকারের ফাঁদে পা দিয়েছে। তাঁর আহ্বান, ভাঁওতাবাজ বিজেপিকে যোগ্য জবাব দেওয়ার সময় এসে গিয়েছে।
শুক্রবার ত্রিপুরার কমলপুরে অভিষেকের সভা আটকানোর জন্য বিজেপি মরিয়া চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। তাঁদের অভিযোগ, হঠাৎ করেই অভিষেকের সভার জায়গা পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে। গাড়ি ব্যবসায়ীদের ভয় দেখানো হয়েছে যাতে সভায় যেতে গাড়ি না দেয়। তৃণমূল সমর্থকদের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও সেরাজ্যে জনসভা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘সিপিএম আমলে এক জঘন্য পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ত্রিপুরায়। কিন্তু তার থেকেও ক্ষতি গত ৫ বছরে বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার করেছে। মানুষ বিজেপির ফাঁদে পা দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা থেকে শুরু করে অর্থনীতি, পাঁচ বছরে সব ক্ষেত্রে পিছিয়ে দিয়েছে বিজেপি।’
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দাবি, ‘বিজেপি ঠিক করেছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা করতে দেওয়া যাবে না। এরা একমাত্র তৃণমূলকে ভয় করে। কারণ তৃণমূল একমাত্র দল যারা বুক চিতিয়ে লড়াই করছে। ইডি-সিবিআই কারও কাছে মাথা নত করবে না তৃণমূল।’ অভিষেকের আরও দাবি, ত্রিপুরার রাজনীতিতে তৃণমূল পা রেখেছে বলেই মুখ্যমন্ত্রী বদলাতে বাধ্য হয়েছে বিজেপি। এরপরই জনতার উদ্দেশে তাঁর আহ্বান, আপনারা যদি সমবেত থাকেন তাহলে সরকারও বদলাবে। অভিষেক মনে করিয়ে দেন, বাংলার বুকে তৃণমূল যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সব পূরণ করেছে। ত্রিপুরাতেও সেটা করা হবে। যদি বাংলায় হয়, কেন ত্রিপুরায় হবে না। তৃণমূল জিতলে একমাসের মধ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এবং স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড পাবে ত্রিপুরা।