আগরতলার বুকে প্রায় সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ রোড শো করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে আমজনতার অভাবনীয় সাড়া বিরোধীদের তো বটেই, তৃণমূলের স্থানীয় নেতানেত্রীদেরও অবাক করে দিয়েছে।
এক মুহূর্তের জন্য জনসমুদ্র দেখে মনে হচ্ছিল, এ যেন ভিনরাজ্য নয়, বাংলারই কোনও এক শহর। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইউএসপি এটাই। তিনি সকলকে আপন করে নিতে পারেন। ঠিক যেমনটা মঙ্গলবার করলেন আগরতলার সভায়।
শুরুতেই ত্রিপুরাবাসীকে একাত্মতার বার্তা দিলেন তৃণমূল নেত্রী। মনে করালেন, আমাদের ভাষা এক, সংস্কৃতি এক, অভ্যাস এক, ধর্মনিরপেক্ষতার বার্তা এক। বলে দিলেন, বাংলা আর ত্রিপুরা আসলে ভাইবোন। ত্রিপুরা, মেঘালয় তথা গোটা উত্তরপূর্ব ভারতের প্রতি তাঁর বিশেষ ভালবাসা আছে, সেটাও এদিন মনে করা তৃণমূল নেত্রী।
আসলে, ত্রিপুরার মাটিতে বিজেপিকে আক্রমণ করতে বাংলা মডেলকেই হাতিয়ার করলেন মমতা। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, দুয়ারে সরকার থেকে শুরু করে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড পর্যন্ত। বাংলার উন্নয়নের ফিরিস্তি সাজিয়ে নিয়ে গিয়ে ত্রিপুরাবাসীকে দুর্দশা থেকে মুক্তি দেওয়ার স্বপ্ন দেখালেন মুখ্যমন্ত্রী। সবুজশ্রী থেকে সমব্যাথী পর্যন্ত বাংলার সরকারের যাবতীয় কর্মসূচির কথা তুলে ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরাবাসীর উদ্দেশে প্রশ্ন করলেন, বাংলা যদি পারে, তাহলে ত্রিপুরা কেন পারবে না?
ত্রিপুরাবাসীর উদ্দেশে তাঁর আহ্বান, আপনারা বাম অপশাসন দেখেছেন, বিজেপি দেখেছেন, কংগ্রেসের সরকারও দেখেছেন। একবার তৃণমূলকে সমর্থন করুন। আমরা বাংলায় পেরেছি, ত্রিপুরায় পারব। আর যদি প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারি তাহলে ফিরিয়ে দেবেন। তৃণমূল নেত্রীর সংযোজন, ‘যদি একটু পাই, হাজার গুণ ফেরত দেব। আমরা ভোটের আগে যতটা বলি, ভোটের পর তার থেকেও বেশি করে করি।’